সংক্ষিপ্ত

সংभলে প্রাচীন মন্দিরের ভূমিতে বেদখল করে গড়ে ওঠা বাড়িঘর এখন মুসলিমরা নিজেরাই ভেঙে ফেলছে। প্রশাসন সিসিটিভি নজরদারি এবং বেদখল বিরোধী অভিযান শুরু করেছে। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ চুরির বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে, যাতে সপা সাংসদের বাড়িও অন্তর্ভুক্ত।

সম্ভলে গত সপ্তাহে যে এলাকায় একটি প্রাচীন মন্দির পাওয়া গিয়েছিল, সেখানকার মুসলিম বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘর ভেঙে ফেলা শুরু করেছেন, যেগুলি তারা মন্দিরের সম্পত্তি বেদখল করে তৈরি করেছিলেন। জেলা প্রশাসন সাইটে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে এবং ব্যাপক বেদখল বিরোধী অভিযান শুরু করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুসলিম বাসিন্দা বলেছেন- অন্তত এইভাবে আমরা আমাদের মূল্যবান জিনিসপত্র বাঁচাতে পারি। যদি আমরা ভাঙার কাজ প্রশাসনের উপর ছেড়ে দিই, তাহলে আমাদের কাছে হয়তো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।

মুসলিমরা নিজেরাই অপসারণ করছে বেদখল

খগ্গুসরাইয়ের বাসিন্দা এক ব্যক্তি বলেছেন- আমরা ২০০২ সালে বাড়িটি কিনেছিলাম। কিন্তু বাড়ির ছজ্জা অনেকটা বাইরে পর্যন্ত বেরিয়ে আছে, যা আমরা নিজেরাই ভেঙে ফেলছি। বেদখল অপসারণের জন্য এই ব্যক্তি তার বাড়ির সামনে পলিথিন লাগিয়েছেন, যাতে ভাঙার সময় অন্য কারও কোনও ক্ষতি না হয়। বেশিরভাগ বেদখল রাতে ভাঙা হচ্ছে, কারণ দিনের বেলা মন্দিরে ভক্তদের ভিড় বেশি থাকে।

বিদ্যুৎ চুরি রোধে উত্তরপ্রদেশ সরকারের অভিযান

উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ পাওয়ার পর উত্তরপ্রদেশ পাওয়ার কর্পোরেশন সম্ভলের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় সেখানে ৪৬ বছরের পুরনো একটি প্রাচীন মন্দির পাওয়া যায়, যা দখল করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এএসপি শ্রীশ চন্দ্র জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বিভাগ জামা মসজিদের কাছে সম্ভলের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি রোধে অভিযান চালিয়েছে। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সপা সাংসদ জিয়া-উর রহমান বার্কের বাড়িতে স্মার্ট মিটার

বিদ্যুৎ চুরি রোধে মঙ্গলবার সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়া-উর রহমানের বাড়িতে একটি স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে। সম্ভলে এখন পর্যন্ত ডজন ডজন বাড়িতে বিদ্যুৎ চুরি ধরা পড়েছে এবং ১.৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সম্ভলের দীপা সরাই, মিয়া সরাই এবং খগ্গু সরাইয়ে স্মার্ট মিটার লাগানোর কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। পুরনো মিটারগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, যাতে বোঝা যায় তাতে কোন ধরনের কারচুপি করা হয়েছে কিনা।