সংক্ষিপ্ত
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সরাসরি শুনানির জন্য পূর্ববর্তী একটি সার্কুলারে যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, তা আপাতত স্থগিত থাকবে। শীতকালীন ছুটি শেষে সোমবার আবার খুলছে শীর্ষ আদালত।
তেসরা জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার থেকে দু সপ্তাহের জন্য ভার্চুয়াল শুনানির সিদ্ধান্ত নিল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। দেশ জুড়ে বৃদ্ধি পাওয়া করোনা সংক্রমণের কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। শীর্ষ আদালত গত বছরের অক্টোবর থেকে মামলাগুলির সরাসরি শুনানি শুরু করেছিল। মহামারী করোনার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত ২০২০ সালের মার্চ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার শুনানি শুরু করে।
রবিবার সন্ধ্যায় জারি করা একটি বিবৃতিতে, সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সরাসরি শুনানির জন্য পূর্ববর্তী একটি সার্কুলারে যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়েছিল, তা আপাতত স্থগিত থাকবে। শীতকালীন ছুটি শেষে সোমবার আবার খুলছে শীর্ষ আদালত। গত বছর ৭ই অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট একটি এসওপি জারি করে বলেছিল যে যে বিষয়গুলিতে দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন সেগুলি শারীরিক শুনানির জন্য বুধবার এবং বৃহস্পতিবার আদালত বসবে।
এদিকে, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় ২৭,৫৩৩ টি নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা সনাক্ত করা হয়েছে। শনিবার এই সংখ্যাটা ছিল ২২,৭৭৫। অর্থাৎ একদিনে ২১ শতাংশ বাড়ল ভারতের দৈনিক নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা। ফলে দেশে মোট রিপোর্ট করা কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ৪,৮১,৭৭০-এ নিয়ে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস রোগের অতিসংক্রামক ওমিক্রন স্ট্রেনের প্রায় ১০০টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। ফলে রবিবার সকালে দেশের মোট ওমিক্রন সংক্রামিকের সংখ্যা ১,৫০০ অতিক্রম করেছে। বর্তমানে, ভারতের ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা ১,৫২৫। দেশের মধ্যে এখনও ওমিক্রনের সবথেকে বেশি কেস সনাক্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র থেকে, ৪৬০টি। নভেম্বরের শেষে ভারতের প্রথম ওমিক্রন রোগীর সন্ধান মিলেছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ আপডেট অনুসারে, এখন পর্যন্ত নথিভুক্ত ১,৫২৫ জন ওমিক্রন রোগীর মধ্যে ৫৬০ জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। ওমিক্রনে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ অন্যান্য রাজ্যগুলি হল - গুজরাট (১৩৬), তামিলনাড়ু (১১৭) এবং কেরল (১০৯), তারপরে রাজস্থান (৬৯), তেলেঙ্গানা (৬৭), কর্ণাটক (৬৪) এবং হরিয়ানা (৬৩)৷ কোভিড-১৯য়ের সর্বশেষ স্ট্রেন, ওমিক্রন এখনও পর্যন্ত দেশের ২৩ টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বাঝিক ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রের পরই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে ওমিক্রন সংক্রমণের সংখ্যা ৩৫১।
ভারতে রবিবার গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা জনিত কারণে ২৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, করোনামুক্ত হয়েছেন ৯,২৪৯ জন। দেশে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৮.২৭ শতাংশ। রবিবারের আগের ২৪ ঘন্টায় কোভিডে সর্বাধিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে কেরলে, ২৪১ টি। তারপরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আমাদের রাজ্যে কোভিডে শনিবার থেকে রবিবারের মধ্যে নয়জন সহনাগরিককে হারাতে হয়েছে।