সংক্ষিপ্ত
- পিছিয়েই চলেছে নির্ভয়ার দোষীদের সাজার পালা
- নতুন করে এই মামলার শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে
- অভিযুক্ত পবনের আবেদনের ভিত্তিতে ২০ জানুয়ারি হবে শুনানি
- পবনের আইনজীবীর দাবি, চার্জ গঠনের সময় নাবালক ছিল অভিযুক্ত
পিছিয়েই চলেছে নির্ভয়ার দোষীদের সাজার পালা। এবার নতুন করে এই মামলার শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। অভিযুক্ত পবনের আবেদনের ভিত্তিতে আগামী ২০ জানুয়ারি ঠিক হয়েছে শুনানির দিনক্ষণ। পবনের আইনজীবীর দাবি, চার্জ গঠনের সময় নাবালক ছিল নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডের অন্য়তম অভিযুক্ত।
দিল্লি হাইকোর্ট পবনের দাবি খারিজ করায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্য়স্ত পবনের আইনজীবী। অতীতেও নিজেকে নাবালক প্রতিপন্ন করতে একাধিকবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পবন। কিন্তু সব জায়গা থেকেই তাঁর দাবি খারিজ করা হয়েছে। পবনের আইনজীবী নিজেই জানিয়েছেন, আগেও এরকম অনেকবার এই দাবি করে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পবন। ট্রায়াল কোর্টে ফেব্রুয়ারির এক তারিখ ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ফের সুপ্রিম কোর্টে গেলেন পবনের আইনজীবী।
প্রসঙ্গত,১৯৯১ সালের রাজীব গান্ধী হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর নলিনী সহ সাত জনতে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। কিন্তু নলিনীকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। সেই দৃষ্টান্ত তুলে ধরে নির্ভয়ার মা আশাদেবীর কাছে ট্যুইটে ধর্ষকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। মহিলা আইনজীবীর অপ্রত্যাশিত ও বিতর্কিত মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন ক্ষুব্ধ নির্ভয়ার মা।
"আমাকে এমন পরামর্শ দিতে আসা ইন্দিরা জয়সিং কে? সারা দেশ দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের খবরে খুশি। তাঁর মত মহিলাদের জন্যই সঠিক বিচার পায় না ধর্ষিতারা।" জানান আশা দেবী। ২০১২ সালে নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চারজনতে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি আদালত। স্থির হয় ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় তিহার জেলে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে চার জনকে। তবে আইনি জটিলতায় পিছিয়ে যায় সেই ফাঁসি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ধর্ষকদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আদালত। নির্দেশ দেওয়া হয় আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি ভোর ছ'টায় ফাঁসি দেওয়া হবে নির্ভয়াকাণ্ডের অপরাধীদের।
এরমাঝেই বিতর্কিত এক পোস্ট এল সিনিয়র মহিলা আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং-এর কাছ থেকে। নির্ভয়ার মায়ের কাছে কাতর অনুরোধ জানিয়ে ট্যুইট করেন ইন্দিরা। বলেন, "আশাদেবীর যন্ত্রণার কথা জেনেও আমি তাঁকে অনুরোধ করব সনিয়া গান্ধীর মতো তিনিও দোশীদের ক্ষমা করে দিন। রাজীব গান্ধী হত্যার অন্যতম দোষী নলিনীকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। আমরা আরনার সঙ্গে রয়েছি, কিন্তু মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে।" এই অনুরোধের কথা শোনার পর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি নির্ভয়ার মা। সাংবাদিকদের সামনেই নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, "এতটা সাহস পান কি করে।"