সংক্ষিপ্ত

ফের গরু বিতর্ক। নিজের দেওয়া রায়ে বিচারপতি যাদব বলেছেন বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে গরু একমাত্র প্রাণী যা শ্বাস-প্রশ্বাসে শুধু অক্সিজেনই ত্যাগ করে।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) বিচারপতি শেখর কুমার যাদব (Shekhar Kumar Yadav), যিনি গরুকে (cow) ভারতের জাতীয় পশু (India's national animal) হিসেবে ঘোষণা করা উচিত বলে দাবি করেছিলেন, শুক্রবার ফের উঠে এসেছেন শিরোনামে। সৌজন্যে সেই গরু। নিজের দেওয়া রায়ে বিচারপতি যাদব বলেছেন বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে গরু একমাত্র প্রাণী যা শ্বাস-প্রশ্বাসে শুধু অক্সিজেনই ত্যাগ করে। 

গরু হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির জামিন আবেদন খারিজ করার পর রায়ে বিচারপতি যাদব আরও বলেন যে গরুর দুধ, দই, ঘি, প্রস্রাব এবং গোবর ব্যবহার করে প্রস্তুত করা 'পঞ্চগব্য' বেশ কিছু দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য আবেদনকারী, সাম্ভাল জেলার জাভেদ, তার সহযোগীদের সাথে খিলেন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তির পোষা গরু চুরি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ।

বুধবার তার রায়ে, আদালতের এই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল এটা প্রথমবার নয় যে আবেদনকারী গোহত্যা করেছে। যদি অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পায়, তবে আবার একই অপরাধ করবে সে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যাদব এদিন বলেন হিন্দু ধর্ম অনুসারে, ৩৩জন দেব দেবী একটি গরুর মধ্যে বাস করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার সমস্ত জ্ঞান গরুর পা থেকে পেয়েছিলেন।

নিজের পার্সে কত টাকা রাখেন মুকেশ অম্বানি, জানলে চোখ কপালে উঠবে

ব্যাঙ্কের চেক থেকে রান্নার গ্যাসের দাম, পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু একাধিক নতুন নিয়ম

Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা

বিচারপতি যাদবের আরও দাবি ছিল যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন যে একটি গরু বা ষাঁড় হত্যা করা একজন মানুষকে হত্যা করার সমতুল্য। বাল গঙ্গাধর তিলক বলেছিলেন যে আপনি আমাকে হত্যা করতে পারেন কিন্তু গরুকে আঘাত করবেন না। পণ্ডিত মদন মোহন মালভ্য গোহত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের পক্ষে ছিলেন। ভগবান বুদ্ধ গরুকে মানুষের বন্ধু বলে বর্ণনা করেছেন, যেখানে জৈনরা গরুকে স্বর্গ বলেছে।

এই রায় শোনানোর সময়ে বিচারপতি বলেন বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে গরু একমাত্র প্রাণী যা শ্বাস নেয় এবং অক্সিজেন বের করে। ভারতীয় সংবিধান প্রণয়নের সময়, গণপরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্য মৌলিক অধিকার হিসেবে গোরক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলেন।

শুক্রবার বিচারপতি যাদব বলেন হিন্দুরা কয়েক শতাব্দী ধরে গরুর পূজা করে আসছে। অ-হিন্দুরাও এটা অনুভব করেন, যার জন্য হিন্দু অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়েও মোঘল আমলে অহিন্দু শাসকরা গরু জবাইয়ের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম নেতৃত্ব বরাবরই গোহত্যা নিষিদ্ধ করার পক্ষে। খাজা হাসান নিজামী একটি আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং তিনি 'তরক-এ-গাও কুশি' নামে একটি বই লিখেছিলেন, যেখানে তিনি গরু হত্যা না করার বিষয়ে লিখেছিলেন। সম্রাট আকবর, হুমায়ুন এবং বাবর তাদের রাজত্বকালে গরু না মারার জন্য আবেদন করেছিলেন।