অর্থনৈতিক গতিবিধি বাড়াতে শুক্রবার রাশিয়ায় ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামের (ইইএফ) ষষ্ঠতম বৈঠক বসেছিল। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ভারত, চিন, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড।

ভালো হোক বা খারাপ সময়, সবসময়ই পরমবন্ধু হিসেবে রাশিয়াকে পাশে পেয়েছে ভারত। সংযুক্ত রাষ্ট্র হোক আর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চ, রাশিয়া সর্বদাই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে বন্ধুত্ব পালন করে। অত্যাধুনিক অস্ত্র থেকে শুরু করে মিসাইল সব ক্ষেত্রেই রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক চুক্তিতেও ভারত এগিয়ে থাকে। তবে শুধুমাত্র অস্ত্রের ক্ষেত্রেই নয়। এই পরম বন্ধুত্বের আরও একবার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল করোনার সময়ও। তখনও করোনার টিকা ও ওষুধ দিয়ে একে অপরকে সাহায্য করেছিল দুই দেশ। আর ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামের (ইইএফ) ষষ্ঠতম বৈঠকে রাশিয়ার ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে। 

অর্থনীতির গতি বাড়াতে শুক্রবার রাশিয়ায় ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামের (ইইএফ) ষষ্ঠতম বৈঠক বসেছিল। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ভারত, চিন, আর্জেন্টিনা ও থাইল্যান্ড। ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। আর এই বৈঠকেই রাশিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদী। ভারত ও রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন তিনি। 

Scroll to load tweet…

করোনা পরিস্থিতির সময় ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটা উদাহরণ পাওয়া গিয়েছিল। মোদী জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী। সেটা যে কতটা শক্তিশালী তা প্রকাশ পেয়েছে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে। এমনকী, করোনার টিকা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেও। এছাড়া তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, শক্তি দুটি দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের আরও একটি প্রধান স্তম্ভ। তিনি বলেন, "ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক বিশ্বের শক্তির বাজারে স্থায়িত্ব আনতে সাহায্য করবে।"

আরও পড়ুন- খোঁজ মিলল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের রক্তে রাঙা সুড়ঙ্গের, দিল্লি বিধানসভাতেই লুকিয়ে ছিল ইতিহাস

মোদী আরও বলেন, "ভারতীয় ইতিহাস এবং সভ্যতায়, সঙ্গম শব্দের একটি বিশেষ অর্থ রয়েছে। এর অর্থ হল মিলিত হওয়া অথবা নদী, মানুষ বা ধারণার একত্রিত হওয়া। আমার দৃষ্টিতে, ভ্লাদিভোস্তক সত্যিই ইউরেশিয়া এবং প্যাসিফিকের একটি সঙ্গম।"

আরও পড়ুন- রাজধানী ট্রেনে মহিলা-শিশুদের সামনেই শুধু অন্তর্বাসে বিধায়ক - দিলেন আজব সাফাই, দেখুন ভিডিও

আরও পড়ুন- পাকিস্তানকে চাপে রাখতে এককাট্টা ভারত-আমেরিকা, তৈরি হবে আকাশযুদ্ধের অত্যাধুনিক অস্ত্র

২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। শুধুমাত্র গত বছর করোনার জেরে এই সম্মেলন সম্ভব হয়নি। চলতি বছর ভ্লাদিভোস্তকে ফার ইস্টার্ন ফেডেরাল ইউনিভার্সিটি চত্বরে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এই সম্মেলন। চলবে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে করোনার কথা মাথায় রেখে এবার অনলাইনে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যোগ দিচ্ছেন। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হল ব্যবসায়িক সম্পর্ককে উন্নত করা ও বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। 

YouTube video player