সংক্ষিপ্ত
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের বক্তব্যও সামনে এসেছে সমীক্ষা সংক্রান্ত। তিনি বলেন, এটি একটি বৈজ্ঞানিক জরিপ। পুরো ক্যাম্পাসটি বিস্তারিতভাবে সমীক্ষা করা হচ্ছে।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী ক্যাম্পাসের সমীক্ষার চতুর্থ দিন সোমবার। একইসঙ্গে, আজ সাওয়ানের সোমবার, এমন পরিস্থিতিতে আজ সমীক্ষার সময়ে সামান্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। সাওয়ান সোমবার হওয়ায় আজ সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে জরিপ কাজ।
কারণ আজ সব শিব ভক্তরা মহাদেবকে জল দিতে এখানে মন্দিরে পৌঁছেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সমীক্ষার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে, এদিকে হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈনের বক্তব্যও সামনে এসেছে সমীক্ষা সংক্রান্ত। তিনি বলেন, এটি একটি বৈজ্ঞানিক জরিপ। পুরো ক্যাম্পাসটি বিস্তারিতভাবে সমীক্ষা করা হচ্ছে।
আজ সকাল ১১টা থেকে জ্ঞানবাপী ক্যাম্পাসের জরিপ কাজ শুরু হয়েছে, এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় জরিপের কাজ হয়। এরপর বিরতি দেওয়ার পর দুপুর আড়াইটায় আবারও এই কাজ শুরু হবে এবং চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন সমীক্ষা সম্পর্কে বলেছেন যে এটি একটি বৈজ্ঞানিক জরিপ এবং এটি একটি অ্যাডভোকেট কমিশনের জরিপ থেকে আলাদা। এই পুরো কমপ্লেক্সের স্থাপত্য অধ্যয়ন করা হচ্ছে। এখানে নীচে যা আছে তা বৈজ্ঞানিক বিবরণে অধ্যয়ন করা হচ্ছে এবং এএসআইয়ের রিপোর্ট এলে তবেই জানা যাবে যে এএসআই এখানে কী পেয়েছে।
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী এ দাবি করেন
হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বলেন, 'আজ কী নতুন পেলাম তা প্রতিদিনই জানা যায় না। সেখানে যে মেশিনটি ব্যবহার করা হবে। মেশিনটি কবে ব্যবহার করা হবে, সেখানে কী পাওয়া গেছে তাও আমরা জানতে পারব না। এএসআইয়ের প্রতিবেদনে এসব বিষয় বেরিয়ে আসবে। পুরো ক্যাম্পাসে জরিপ করা হচ্ছে, এএসআই ৪২ সদস্যকে দলে ভাগ করেছে। কিছু লোক গম্বুজ এবং এর আশেপাশের জরিপ করছে, এখানে ম্যাপিং করা হচ্ছে, পরীক্ষা করা হচ্ছে, একটি দল পশ্চিম দেয়াল অধ্যয়ন করছে। বেসমেন্টের বিস্তারিত অধ্যয়ন করা হচ্ছে।
আসলে, জ্ঞানবাপী ক্যাম্পাসের জরিপ নিয়ে অনেক ধরনের দাবি সামনে এসেছে। বেসমেন্টে চার ফুটের মূর্তি, ত্রিশূল, কলশসহ অনেক হিন্দু নিদর্শন পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, মুসলিম পক্ষ এসবকে গুজব বলে আখ্যায়িত করেছে। এর পাশাপাশি গণমাধ্যমে আসা এসব বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে যে, এভাবে গুজব ছড়াতে থাকলে মুসলিম পক্ষ জরিপে অংশ নেবে না।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই-এর সমীক্ষা তিন দিন ধরে চলছে। এদিকে, মুসলিম পক্ষ এই সমীক্ষা নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে অভিযোগ করে প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী সুধীর ত্রিপাঠি বলেন, শিবলিঙ্গের ধ্বংসাবশেষ পশ্চিম দেয়ালের কাছে ধ্বংসস্তূপে ঢেকে গেছে। এখন মেশিন বসিয়ে এটি পরীক্ষা করা হচ্ছে কারণ কোনো ক্ষতি না করেই সমীক্ষা করতে হবে। এর আগে আবেদনকারী রেখা পাঠক বলেছিলেন যে বেসমেন্টের একটি সমীক্ষা শীঘ্রই করা যেতে পারে।