সংক্ষিপ্ত
সালটা ২০১৮। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার চার বছর পরের ঘটনা। 'চেঞ্জিং ইন্ডিয়া' লঞ্চের সময় একটি ছয় খণ্ডের বই প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতেই সওয়াল করেন মনমোহন।
মনমোহন সিং-র সমালোচকরা বিশেষ করে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি তাঁকে প্রায়ই 'নীরব প্রধানমন্ত্রী ' বলে কটাক্ষ করত। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ছিল মনমোহন সিং-এর শাসনকাল। এই সময় এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল যা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। আর সেই কারণেই তাঁকে নীরব প্রধানমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করা হত। কিন্তু মনমোহন সিং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই সমালোচনার জবাবও দিয়েছিলেন।
সালটা ২০১৮। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার চার বছর পরের ঘটনা। 'চেঞ্জিং ইন্ডিয়া' লঞ্চের সময় একটি ছয় খণ্ডের বই প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানেই অর্থনীতিবিদ হিসেবে তাঁর চিন্তাভাবনা, ভারতের বাজারকে উদারীকরণে তাঁর ভূমিকার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কার্যবলী তুলে ধরা হয়েছিল। সেই বই নিয়েই তিনি সওয়ার করেছিলেন তাঁর সমালোচনার বিরুদ্ধে।
মনমোহন সিং বলেছিলেন, 'লোকেরে বলে আমি একজন নীরব প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। আমি মনে করি এই ভলিউমগুলি আমার নিজের পক্ষেই কথা লে। আমি এমন প্রধানমন্ত্রী নই যে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পাই। আমি নিয়মিত প্রেসের সঙ্গে দেখা করতাম। প্রতিটি বিদেশ সফর নিয়ে আমি কথা বলেছি। সেখানে প্রচুর প্রেস কনফারেন্স করেছি। যার ফলাফল বইতে রয়েছে।' এই বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে নিজে পক্ষে সওয়ালের পাশাপাশি মনমোহন সিং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তীব্র সমালোচনা করেন। কারণ মোদীর বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অভিযোগ তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হয়েও তিনি প্রেস কনফারেন্স করেন না।
যাইহোক ১৯৩২ সালের পঞ্জাবের বর্তমানে পাকিস্তানের গাহে-তে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মনমোহন সিং। জীবনের ১২টি বছর তিনি বিদ্যুৎবিহীন গ্রামে কাটিয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে প্রথম শ্রেণির অনার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যায়, দিল্লির স্কুল অব ইকোনামিক্স-এ অধ্যাপনা করেন। পাবলিক সার্ভিক কমিশনেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছিলেন মনমোহন সিং।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাও-এর অধীনে তিনি অর্থমন্ত্রী ছিলেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর, ভরতের যোজনা কমিশনের অধ্যক্ষও ছিলেন তিনি। বর্তমানে চতুর্থবার অসম থেকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন মনমোহন সিং।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।