প্রথমে আকাশ হয়ে গেল অন্ধকারসেই আকাশে ধেয়ে এল বিশাল কমলা মেঘতারপর আকাশ বিশালাকার লাল তরঙ্গ আছড়ে পড়ল চুরু-র উপরকী ঘটল রাদস্থানের এই মরু শহরে, দেখুন

প্রথমে আকাশ হয়ে গেল একেবারে অন্ধকার। তারপর সেই আকাশে ধেয়ে এল বিশাল বিশাল কমলা রঙের মেঘ। আর তারপর আকাশ থেকে রক্তপাতের মতো এক বিশালাকার লাল তরঙ্গে এসে আছড়ে পড়ল রাজস্থানের চুরু শহরে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এমনটাই দেখা গেল।

আসলে এটা ছিল একটা বিশাল মাপের ধুলোর ঝড়। সেই ঝড়ই গ্রাস করল মরু শহর চুরু-কে। থর মরুভূমির একেবারে কাছেই অবস্থিত রাজস্থানের এই শহর। তাই মাঝে মধ্যেই এই জাতীয় ধূলোর ঝড় ওঠে। তবে এদিনের মতো এত বিশাল মাপের ধুলোর ঝড় বহুদিন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও, এই ধুলোর ঝড়ে অনেকেরই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু গতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যা রাজ্যের চলমান কোভিড সংকট বাড়িয়ে দিতে পারে।

Scroll to load tweet…

শুধু এই ধুলোর ঝড়ই নয়, জয়পুরের মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঝড়, বজ্রপাত এবং ২৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে এদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে চুরু, ঝুনঝুনু, সিকার, নাগৌর, জয়পুর, আলওয়ার, আজমির, বিকারের জেলা এবং রাজস্থান সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে। গত কয়েকদিন ধরে রাজস্থানের বিশেষ করে চুরুর তাপমাত্রার পারদ ক্রমে চড়ছিল। এদিনও রাজস্থানের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের আশপাশে ছিল।

এদিকে দিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশ, পূর্ব রাজস্থান, উপকূলীয় কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং লক্ষদ্বীপের বিচ্ছিন্ন এলাকায় আগামী কয়েক ঘন্চায় ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসেও রাজস্থানে এমন একটি ধুলোঝড় দেখা গিয়েছিল। সেই ঝড়ে স্থানীয় কৃষিজমি ও অন্য়ান্য সম্পদের ব্য়াপক ক্ষতি হয়েছিল। তবে প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি। সেবার ঝড় বয়ে গিয়েছিল পিলানি, সিকার, ঝুনঝুনু, বিকানের, জয়পুর এবং চুরু-র উপর দিয়ে।