সংক্ষিপ্ত

আগামী ৭ ডিসেম্বর এসকেএম-এর (SKM) পরবর্তী সভা ডাকা হবে। কৃষকদের আন্দোলনের ভবিষ্যত পথ নির্ধারণের জন্য এই সভা ডাকা হয়েছে।  

প্রায় এক বছর পর কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) ও প্রতিবাদী কৃষক সংগঠনগুলো বৈঠকে বসতে চলেছে। সম্ভবত, শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে কৃষক আন্দোলন। মিলল এমনই ইঙ্গিত। এতদিন ধরে চলা আন্দোলনের জেরে ইতিমধ্যে তিনটি নতুন কৃষি আইন (Farmer Law) বালিত করেছে সরকার। এবার সম্মিলিত কিষাণ মোর্চা কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলার জন্য একটি ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন তারা।  

শনিবার কৃষক ইউনিয়নের সদস্য রাকেশ টিকাইত বলেন, এসকেএম (SKM) সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। এটি সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুমোদিত সংস্থা হবে। কমিটিতে বলবীর সিং রাজেওয়াল, শিব কুমার কাক্কা, গুরনাম সিং চারুনি, যুধবীর সিং এবং অশোক ধাওয়াল থাকবেন। তিনি আরও জানান, আগামী ৭ ডিসেম্বর এসকেএম-এর পরবর্তী সভা ডাকা হবে। কৃষকদের আন্দোলনের ভবিষ্যত পথ নির্ধারণের জন্য এই সভা ডাকা হয়েছে।  

টিকাইত আরও বলেছেন, এসকেএম সরকারকে কৃষকদের দাবি শোনার জন্য ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে। সারের (Fertilisers) প্রসঙ্গেও বলেছেন তিনি। তিনি জানান, দেশে সারের ঘাটতি রয়েছে। এতে ফসল উৎপাদনের প্রভাব পড়বে। তখন সরকারকে অন্য দেশ থেকে শস্য আমদানি করতে হবে। 

প্রসঙ্গত, গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন (Farmer Law) বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় জায়গাতেই ২৯ নভেম্বর শীতকালিন অধিবেশনের প্রথম দিনে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাশ হয়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও বিলটিতে সম্মতি দিয়েছেন যা তিনটি কৃষি বিল বাতিল করার প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন করবে। 

আরও পড়ুন: SP in Uttarpradesh: কংগ্রেসে না, চব্বিশের রণকৌশল সাজাতে মমতারই হাত ধরতে চান অখিলেশ

আরো পড়ুন: Sena slams Mamata: বিজেপি নয়, মমতাই 'সবথেকে বড় হুমকি', শিবসেনাও করল তীব্র নিন্দা

প্রসঙ্গত, সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন তারা। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা আলোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছে। এর ফলে এক বছর পর সরকার ও কৃষক ইউনিয়নগুলোর মিটিং (Meeting) হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই হবে এই আলোচনা। তবে, এই আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা এই মুহূর্তে বোঝা যাচ্ছে না। তবে, এখনই আন্দোলন বন্ধ হচ্ছে না। আপাতত কৃষকরা আন্দোলন চালাবেন বলে জানানো হয়েছে কৃষক আন্দোলনের পক্ষ থেকে।  এদিকে প্রধানমন্ত্রী তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার পর গাজীপুর সীমান্তে কৃষকরা একে অপরকে জিলিপি খাইয়ে উৎসবে মাতেন। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত কৃষকদের বড় জয়।