সংক্ষিপ্ত

অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ইভিএমে কারচুপি করছে এবং বারাণসী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় প্রার্থীদের না জানিয়েই সেই ইভিএম স্থানান্তর করছেন।

উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড (Uttar Pradesh, Punjab, Goa, Manipur, Uttarakhand)। এই পাঁচ রাজ্যের রাজনৈতিক ভাগ্য (political Fate) নির্ধারণ ১০ই মার্চ (10th March)। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব (Samajwadi Party chief Akhilesh Yadav) উত্তরপ্রদেশে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করার পরপরই, আসরে নেমে পড়েছেন সপা প্রার্থীরা (SP candidate)। 

তেমনই একটি ঘটনা নজর কেড়েছে সংবাদমাধ্যমের। উত্তরপ্রদেশের হস্তিনাপুর কেন্দ্রের সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী যোগেশ বর্মার (SP candidate from Hastinapur constituency Yogesh Verma) একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যোগেশ বর্মাকে দেখা গিয়েছে দূরবীন (binoculars) দিয়ে ইভিএম স্ট্রংরুমের উপর নজর রাখতে (continues vigil overnight)। যোগেশ স্ট্রংরুমের কাছাকাছি চলে যান এবং নজরদারি করেন। কেন দূরবীন দিয়ে পাহারা, জানতে চাওয়া হলে যোগেশের সাফ উত্তর “আমরা ইভিএম স্ট্রং রুমের কাছাকাছি রয়েছি এবং তাদের ২৪ঘন্টা পাহারা দিচ্ছি। আমাদের পরিশ্রম এসব ইভিএমে আটকে আছে। আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করেছি। প্রথম স্তরটি যেখানে ইভিএম রাখা হয়েছে তার ২০০ মিটারের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছে।,”

সারা রাত ধরে পাহারা দেন সমাজবাদী পার্টির এই প্রার্থী।   যোগেশ ভার্মা বলেন বিজেপি চেষ্টা করছে এক্সিট পোলের ফলাফলকে সত্যি বানাতে। তাই গণনায় কারচুপি করার চেষ্টা করবে গেরুয়া শিবির। তবে সমাজবাদী পার্টি তা হতে দেবে না। দূরবীন দিয়ে নজরদারি চালিয়ে ইভিএমের কারচুপি রুখে দেবে সপা। এই প্রসঙ্গে সপা প্রধান অখিলেশ যাদবের বক্তব্য তুলে ধরেন যোগেশ। অখিলেশ বলেছিলেন এমনকি অফিসাররাও এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত। তারা ইভিএম কারচুপি করার চেষ্টা করবে কারণ তারা জানে যে এসপি নির্বাচনে জিতেছে। 

অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছিলেন যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা ইভিএমে কারচুপি করছে এবং বারাণসী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় প্রার্থীদের না জানিয়েই সেই ইভিএম স্থানান্তর করছেন। এই অভিযোগের জবাবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দল আমাদের নজরে এনেছে যে বারাণসী জেলায় একটি গাড়িতে কয়েকটি ইভিএম পরিবহন করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব ইভিএম প্রশিক্ষণের কাজে লাগানো হয়েছিল। এই ইভিএমগুলিকে নয়ই মার্চ, রাজ্যের একটি কলেজে প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং একটি খাদ্যশস্যের গুদামে রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে ভোটে কারচুপির কোনও সম্পর্ক নেই। "

এদিকে, লখনউ পুলিশ কমিশনার ডি কে ঠাকুর বলেছেন যে ভোট গণনার আগে ইভিএম স্ট্রংরুমের চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সোমবার উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সপ্তম ও শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এক্সিট পোল রাজ্যে বিজেপির ফের ক্ষমতায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছে।