সংক্ষিপ্ত
- চন্দ্রযান সাফল্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে ইসরো
- তাদের পরের লক্ষ্য ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন স্থাপন
- সেই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিল মহাকাশ সংস্থাটি
- আগামী ৫-৭ বছরের মধ্যেই এই অভিযানে সামিল হবে ইসরো
চন্দ্রযান অভিযান এখন অতীত। ল্যান্ডার বিক্র সফলভাবে অবতরণ করতে না পারলেও অরবাইটর দারুণ সাফল্য়ের সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, চাঁদের বহু অচেনা অংশের দারুণ দারুণ ছবিও তুলে পাঠাচ্ছে সে। এই অবস্থায় অসরোর বিজ্ঞানীদের নজর এখন গগনযান অভিযান ও তার বর্ধিত অংশ অর্থাৎ মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন স্থাপন করার দিকে। এই স্পেস স্টেশন কেমন হতে চলেছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তা জানালো ইসরো।
কেমন হবে ভারতীয় স্পেস স্টেশন?
ইসরো জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান ও কানাডা মিলে যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনটি পরিচালনা করে ভারতীয় স্পেস স্টেশন তার মো বড় আকৃতির হবে না। এতে খুব বেশি হলে তিনজন পর্যন্ত মহাকাশচারী থাকতে পারবেন। আর বাদ বাকি যা থাকবে সবটাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রাদি। সব মিলিয়ে পুরো কেন্দ্রটির ওজন হবে ২০ টনের মতো। এটি স্থাপন করা হবে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১২০-১৪০ কিলোমিটার উচ্চতায়। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন পৃথিবীকে আবর্তন করে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায়।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে জায়গা চায় না ভারত
চলতি বছরের জুন মাসেই এই নয়া প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন ইসরো প্রধান কে শিবান। তিনি জানিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের অংশ হতে চায় না ভারত। বরং আগামী সাত বছরের মধ্যেই নিজস্ব স্পেস স্টেশন স্থাপন করবে ভারত। সেই স্পেস স্টেশনে নিয়মিত মহাকাশচারীদের পাঠানোর জন্যই ভারত মহাকাশে প্রথম মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই অভিযানই গগনযান প্রকল্প নামে পরিচিত।
কী কাজে লাগে স্পেস স্টেশন?
স্পেস স্টেশন, মানে মহাকাশে স্থিত গবেষণাগার। সেখানে মহাকর্ষ বল থাকে শূন্য। এছাড়া মহাকাশে মানব দেহের কোষ থেকে সুরু করে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থও পৃথিবীর থেকে কিছুটা আলাদা আচরণ করে থাকে। পৃথিবীর বুকে যতই মহাকাশের অনুরূপ অবস্থা তৈরি করা হোক না কেন, কিছু কিছু পরীক্ষার ক্ষেত্রে মহাজাগতিক পরিবেশ অবশ্য প্রয়োজনীয়। এই ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্যই মহাকাশে স্পেশ স্টেশনের প্রয়োজন। কাজেই ভারতের নিজস্ব স্পেস স্চটেশন ভাহরতের মাকাশ চর্চা কয়েক কদম এগিয়ে দেবে।