সংক্ষিপ্ত
টুইট করে মোদী বলেন স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা। আধুনিক ভারত গঠনের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী ছিল সঠিক।
দেশ জুড়ে উদযাপিত হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৯তম জন্মদিন (Swami Vivekanand Jayanti 2022) ও ৩৭তম জাতীয় যুব দিবস। এই শুভদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi)। বাদ গেলেন না রাজ্য নেতারাও (State BJP Leaders)। বঙ্গ বিজেপির দুই মুখ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও নেতা শুভেন্দু অধিকারি টুইট করে স্বামী বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা জানান।
এদিন টুইট করে মোদী বলেন স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা। তিনি ভারতের শক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। আধুনিক ভারত গঠনের জন্য তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী ছিল সঠিক। আধুনিক ভারতের রূপকার ছিলেন তিনি। যুব সমাজের পথের দিশা দেখিয়ে তিনি দেশ গড়ার বার্তা দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রত্যেককে একযোগে কাজ করতে হবে।
এদিন টুইট করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি লেখেন জাতীয় যুব দিবসে প্রত্যেককে শুভেচ্ছা। স্বামী বিবেকানন্দ সকলের আদর্শ, অনুপ্রেরণা। তিনি দেশের যুব সমাজের পথপ্রদর্শক।
টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন আধ্যাত্মিক চেতনার প্রাণপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে প্রণাম। স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্ববরেণ্য বীর সন্ন্যাসী। যুব সমাজের পথপ্রদর্শক।
উল্লেখ্য, স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার এক উচ্চবিত্ত হিন্দু বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি তিনি আকর্ষিত হতেন। তাঁর গুরু রামকৃষ্ণ দেবের কাছ থেকে তিনি শেখেন, সকল জীবই ঈশ্বরের প্রতিভূ তাই মানুষের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয়। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ ভারতীয় উপমহাদেশ ভালোভাবে ঘুরে দেখেন এবং ব্রিটিশ ভারতের আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ জ্ঞান অর্জন করেন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের বিশ্ব ধর্ম মহাসভায় ভারত ও হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন।
স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৬৩ সালের ১২ জানুয়ারি পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের সপ্তমী তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন প্রতি বছর রামকৃষ্ণ মিশন, রামকৃষ্ণ মঠ এবং তাদের অনেক শাখা কেন্দ্রে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনুসারে পালিত হয়। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী ভারতে জাতীয় যুব দিবস "যুব দিবস" বা "স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন" হিসাবে পূর্ণ উদ্যমে পালিত হয়।
৪ জুলাই ১৯০২ খ্রিষ্টাব্দ, তার মৃত্যুর দিন, বিবেকানন্দ ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন, বেলুড় মঠে তিন ঘণ্টা ধরে ধ্যান করেন। এরপর তিনি ছাত্রদের শুক্লা-যজুর্বেদ শেখান, যা একটি সংস্কৃত ব্যাকরণ এবং যোগ দর্শন। পরে সহকর্মীদের সঙ্গে রামকৃষ্ণ মঠের বৈদিক কলেজে একটি পরিকল্পনার আলোচনা করেন। তিনি ভ্রাতা-শিষ্য স্বামী প্রেমানন্দের সঙ্গে হাঁটেন এবং তাকে রামকৃষ্ণ মঠের ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও নির্দেশনা দেন। সন্ধ্যা ৭:০০ টায় বিবেকানন্দ তার ঘরে ফেরেন এবং তাকে বিরক্ত করতে নিষেধ করেন, এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাত ৯:১০ মিনিটে ধ্যানরত অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।