সংক্ষিপ্ত

মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে হিমাচল প্রদেশের দড়ি টানাটানি শেষ। কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে পারে দলের প্রচার কমিটির প্রধান সুখবিন্দর সিং সুখুকে। রবিবার হতে পারে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান।

 

পাহাড়ি রাজ্যে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর লড়াই থেকে ছিটকে গেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর স্ত্রী প্রতিভা সিং। কংগ্রেস সূত্রের খবর হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, হামিরপুর জেলার নাদৌনের তৃতীয়বারের বিধায়ক সুখবিন্দর সিং সুখু। তিনি নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচার কমিটির প্রধান ছিলেন। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড সুখবিন্দর সিং সুখুর নামেই শিলমহর দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। রবিবার হিমাচলের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেবেন বলেও রাজ্য কংগ্রেসের নেতারা জানিয়েছেন।

সুখু হিমালচল প্রদেশের কংগ্রেসের কমিটির প্রাক্তন সভাপতি। তিনি চার বারের বিধায়ক। দলের প্রথম সারির নেতা রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। সূত্রের খবর হিমাচলের রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর বিরোধী হিসেবে পরিচিত। শনিবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের নবনির্বাচিত বিধায়করা সুখুকেই বিধানসভা নেতা হিসেবে নির্বাচিত করবে। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি হবে বিধানসভায় দলীয় বৈঠক।

আগেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জনিয়েছিলেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবের দলের পর্যবেক্ষকরা। তাঁরা ইতিমধ্যেই স্থানীয় বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। দল প্রধানকে দলের সদস্যরা বেছে নেবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

সুখবিন্দর সিং সুখু হলেন নাদৌনের তৃতীয়বারের বিধায়ত। তাঁর আইনের ডিগ্রি রয়েছে। কংগ্রেস শাখা ন্যাশানাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেখানেই তঁরা রাজনৈতিক হাতিখড়ি। তিনি বীরভদ্রের সঙ্গে সম্পর্ণ আদালা। বীরভদ্র যেখানে রাজপরিবারের সদস্য সেখানে সুখবিন্দর নিজের জীবন শুরু করেছিলেন সিমলার হিমাচল প্রদেশ ইউনিভার্সিটির একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে। এনএসইউআইএর রাজ্য ইউনিটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ১৯৮০ সালে।

২০০০ সাল থেকেই সুখবিন্দর পুরোপুরি রাজনীতি শুরু করেন। কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের কর্মী হিসেব শুরু হয় নতুন রাজনৈতিক জীবন। সেইসময় তিনি রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। সিমলা পুরসভার নির্বাচনে দুইবার জয়ী হয়েছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে রাজ্য ইউনিটের সচিব ছিলেন। তারপরই রাজ্য ইউনিটের প্রধান হন। তবে ২০১৯ সালে তাঁকে সরিয়ে কুলদীপ রাঠোরকে তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছিল। যা নিয়ে হিমাচলের রাজনীতি রীতিমত উত্তপ্ত হয়েছিল। কিন্তু সুখবিন্দ কংগ্রেস ছেড়ে যায়নি। মাটি কামড়ে আঁকড়ে পড়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবি জানিয়ে প্রতিভা ও তাঁর অনুগামীরা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তখনও সুখবিন্দর জানিয়েছেন, দল তাঁকে যে দায়িত্ব দেবে তা তিনি মাথা পেতে নেবেন।  তবে শেষ পর্যন্ত হাইকমান্ডের নির্দেশে তাঁর ভাগ্যেই শিকে ছিঁড়ল। 

আরও পড়ুনঃ

হাসিনা বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, বিরোধী ৭ সাংসদের পদত্যাগ

জেতার পরেও হিমাচল 'কাঁটা' কংগ্রেসের, বিধায়কদের মন রাখতে আসরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

তৃণমূলের সকেত গোখলের চড়া সুর জামিনে মুক্তির পর, বললেন 'আমাকে জেলে রাখাই উদ্দেশ্য বিজেপির '