সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভা ২০১৯-এর ভোট গ্রহণ পর্ব। আর ঠিক তার একদিন আগেই শীর্ষ আদালতে রাফাল মামলা নিয়ে বড় ধাক্কা খেল মোদী সরকার। বুধবার, রাফালের ফাঁস হওয়া নথিকে প্রমাণ হিসেবে দেখেই, রাফাল চুক্তি নিয়ে তাদেরই দেওয়া আগের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের দায়ের হওয়া রিভিউ পিটিশনগুলি পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভা ২০১৯-এর ভোট গ্রহণ পর্ব। আর ঠিক তার একদিন আগেই শীর্ষ আদালতে রাফাল মামলা নিয়ে বড় ধাক্কা খেল মোদী সরকার। বুধবার, রাফালের ফাঁস হওয়া নথিকে প্রমাণ হিসেবে দেখেই, রাফাল চুক্তি নিয়ে তাদেরই দেওয়া আগের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের দায়ের হওয়া রিভিউ পিটিশনগুলি পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে গত ডিসেম্বরে রাফাল চুক্তি নিয়ে মোদী সরকারকে 'ক্লিন চিট' দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু, তারপর 'দ্য হিন্দু' পত্রিকায় এই বিষয়ে কিছু গোপন নথি ফাঁস করা হয়। তাতে জানা যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে টপকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতর 'সমান্তরাল দরাদরি' চালিয়েছিল। রাফাল ক্রয়ের বিষয়ে ডিফেন্স অ্যাকুইজেশন কমিটির আধিকারিকদের বাধাকেও পাত্তা দেওয়া হয়নি।
এরপরই শীর্ষ আদালতের রাফাল রায় পুনর্বিচনার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন যশবন্ত সিনহা, অরণ শৌরি ও আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। কিন্তু ওই নথিগুলি চুরি করে পাওয়া বলে সেগুলিকে প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল সরকার পক্ষ। এদিন আদালতের রায়ে সেই আপত্তি ধোপে টিকল না।
স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীরা সঙ্গে সঙ্গেই এই রায়কে মোদী ও র সরকারকে আঘাত করার হাতিয়ার বানিয়ে নিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি থেকে তাদের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা প্রত্যেকেই তাদের এবারের ভোটের মূল মন্ত্র 'ন্যায়'-এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জানিয়েছেন এই ন্যাবিচার হবে। রাহুল আরও এক কদম এগিয়ে মোদীকে দুর্নীতি নিয়ে সামনা-সামনি তর্কযুদ্ধে অংশ নেওয়ার চ্যালেঞ্জও করেছেন।