সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় গুদামে মজুত আছে অতিরিক্ত ধান
তার থেকে তৈরি করা হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার
সেইসঙ্গে তৈরি হবে কম দূষণের জ্বালানি-ও
বিরোধীরা এই ধান লকডাউনে অনাহারে থাকা মানুষের মধ্যে বিলির দাবি জানিয়েছিল
কেন্দ্রীয় গুদামে মজুত থাকা অতিরিক্ত চাল থেকে তৈরি করা হবে ইথানল। আর তাই দিয়ে তৈরি করা হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সেইসঙ্গে দূষণ কম করার জন্য জ্বালানি হিসাবে পেট্রোলের সঙ্গেও মেশানো হবে এই ইথানল। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউন জারির পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লক্ষ লক্ষ মানুষের অনাহারের যে ছবি প্রতিদিন সামনে আসছে, তাতে সরকারে এই সিদ্ধান্তে বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জৈব জ্বালানির বিষয়ে জাতীয় নীতিতে বলা হয়েছে উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্যকে ইথানলে রূপান্তরিত করা যাবে। সেই নীতি অনুসারেই পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সভাপতিত্বে জাতীয় জৈব জ্বালানি সমন্বয় কমিটির এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কমিটির সদস্যরা ভারতের ফুড কর্পোরেশনের কাছে উদ্বৃত্ত থাকা ধান-কে, অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে এবং ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল প্রকল্পে মিশ্রণ তৈরির জন্য, ইথানলে রূপান্তরিত করার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন।
লকডাউনে বন্ধ স্নান, বাধ্য করছেন সঙ্গমে, স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে নালিশ স্ত্রীর
ভারতের অধিকাংশ করোনা রোগীই ধরাছোঁয়ার বাইরে, নয়া পরিসংখ্যানে উদ্বেগ বাড়ালো আইসিএমআর
এইডস-এর টিকা তৈরি করতে গিয়েই কি করোনার উদ্ভব, নোবেলজয়ীর দাবিতে তোলপাড় গোটা বিশ্ব
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, লকডাউনের কারণে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক চরম অনাহার, ক্ষুধার খবর এসেছে। এদিকে ভারতের ফুড কর্পোরেশনের গুদামে প্রচুর খাদ্যশস্য মজুত আছে বলে জানা গিয়েছিল। সেই খাবার অভাবীদের কাছে কেন পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না, সেই নিয়েই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল। এবার ধান থেকে ইথানল তৈরির সিদ্ধান্ত, সেই বিতর্ককে আরও বাড়াবে বলেই রাজনৈতিক বিস্লেষকদের অনুমান। বিশেষ করে এর আগে যখন কখনও জৈব জ্বালানীর এই নীতিটি ব্যবহার করা হয়নি, তখন এই সংকটের সময় সেটি ব্যবহার কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন উঠছে।
লকডাউন শুরু হওয়ার পরপরই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক থেকে যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল, সেখানে তিন মাস ধরে প্রায় ৮০ কোটি দরিদ্র মানুষকে খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে তা রেশনের মাধ্যমে। বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক কাজের জায়গায় রেশন কার্ড আনেন না। আবার ভারতে আনুমানিক ৫০ লক্ষ মানুষ আছেন যাদের রেশন কার্ড নেই। এঁরা কীভাবে খাবার পাবেন, তার সদুত্তর সরকারের কাছে নেই। এই অবস্থা অনেক অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞই পরামর্শ দিয়েছেন রেশনের যে থাবার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তার পরিধি বাড়ানোর জন্য। গরীব মানুষ, তার রেশন কার্ড থাকুক, আর নাই থাকুক, তিন মাস তার খাওয়ার দায়িত্ব নিক সরকার। এই অবস্থায় দান থেকে ইথানল তৈরির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।