সংক্ষিপ্ত
তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তিরুচিরাপল্লী (Tiruchirapalli) জেলায় কয়েকদিন আগে আত্মহত্যা করেছিল এক ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী। এবার আত্মঘাতী হলেন সেই স্কুলেরই এক শিক্ষক।
এক অদ্ভূত ঘটনা ঘটল তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তিরুচিরাপল্লী (Tiruchirapalli) জেলায়। দিন কয়েক আগেই জেলার কারুর (Karur) এলাকায় এক ১৭ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছিল। সুইসাইড নোটে সে অভিযোগ করেছিল, স্কুলেরই এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেছে। সেই অপমানেই সে তার জীবন শেষ করে দিচ্ছে। বুধবার রাতে, সেই একই স্কুলের এক শিক্ষকও আত্মঘাতী হলেন। মৃত্যুর আগে তিনিও একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন। এই জোড়া মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ ঘন হচ্ছে রহস্য।
জানা গিয়েছে মৃত শিক্ষকের নাম এ সর্বানন। যে বেসরকারি স্কুলে ওই ছাত্রীর যৌন হেনস্থার ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখানেই পড়াতেন তিনি। সুইসাইড নোটে তিনি অবশ্য নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন। কিন্তু জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের মুখোমুখি হতে তিনি লজ্জা পাচ্ছেন এবং সেই কারণেই নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, তিনি কোনও অন্যায় না করা সত্ত্বেও, শিক্ষার্থীরা তাঁকেই ওই যৌন হয়রানির ঘটনায় দোষী বলে সন্দেহ করছে। একেবারে শেষে তিনি লেখেন, 'আমাকে ক্ষমা কোরো, আমি তোমাদের সবাইকে মিস করছি।'
জানা গিয়েছে, জরুরি দরকার আছে বলে, বুধবার বিকেলে সর্বানন একটু তাড়াতাড়িই বেরিয়ে যান স্কুল থেকে। এরপর তিনি সোজা থুরাইউরে (Thuraiyur) তাঁর মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে একাকী থাকাকালীনই, ওই চরম কাজ করে বসেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে, থুরাইউর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সর্বাননে দেহ উদ্ধার করে। এই বিষয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। দেহের ময়নাতদন্তের কাজ এখনও চলছে।
তবে, ওই ছাত্রীর আত্মহত্যার সঙ্গে শিক্ষকের আত্মঘাতী হওয়ার কোনও যোগ আছে কিনা, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কারুরের ওই দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রীটি সুইসাইড নোটে কারোর নাম লিখে যায়নি। ফলে, কে তার শ্লীলতাহানি করেছিল, তা এখনও অজানা। এই নিয়ে বিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয়রা।
তিরুচিরাপল্লীর এসপি সুজিত কুমার এদিন জানিয়েছেন., শিক্ষকের মৃত্যুর সঙ্গে ছাত্রীর আত্মহত্যার কোনও সম্পর্ক আছে কিনা, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মেয়েটির মৃত্যুর তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষ হলেই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।