সংক্ষিপ্ত
রবিবার নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও-কে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় হায়দরাবাদ জুড়ে। ভিডিও-এ তেলঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিংহের একটি বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া ও সাম্প্রদায়িক হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগও উঠছে।
নূপুর শর্মার পর এবার ঘৃণাভাষণ ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ তেলঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিংহ। মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপরই দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় রাজাকে। জানা যাচ্ছে নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দালের বিতর্কিত মন্তব্য অনুকরণ করার জেরেই গ্রেফতার করা হয় রাজাকে।
রবিবার নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও-কে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় হায়দরাবাদ জুড়ে। ভিডিও-এ তেলঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক টি রাজা সিংহের একটি বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া ও সাম্প্রদায়িক হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগও উঠছে।
এই ভিডিও নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় পড়েই উত্তেজনা সৃষ্টি হয় হায়দরাবাদ ও সংলগ্ন এলাকায় (এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়া নেট নিউজ বাংলা)। উত্তেজিত জনতা সোমবার হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দের দফতরের সামনে রাজার গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ-অবস্থানও করে। ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’-এর প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এই প্রসঙ্গে বলেন, রাজাকে গ্রেফতার করা না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ঘৃণাভাষণ ও হিংসায় উস্কানির অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডিবিধির ১৫৩ (এ), ২৯৫ এবং ৫০৫-এর মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।
আরও পড়ুন - নবী সম্পর্কে ফের বিতর্কিত মন্তব্য, হায়দরাবাদে গ্রেফতার করা হল বিজেপি বিধায়ককে
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসেই একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে বিজেপির তৎকালীন মুখপাত্র। নূপুর শর্মার একটি মন্তব্য ঘিরে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় বিশ্ব রাজনীতিতে। ঘটনায় নূপুরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। তাঁকে এখনও গ্রেফতার না করা হলেও দল থেকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হয়।
উল্লেখ্য হায়দরাবাদের গোসামহল কেন্দ্রের দু'বার বিধায়ক হন টি রাজা সিংহ। এর আগেও একাধিকবার ঘৃণাভাষণ ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগ উঠেছে রাজার বিরুদ্ধে।
বারবার বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের পরেও কী ভাবে ছাড় পাচ্ছিল রাজা? আমেরিকার সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিটে দু'বছর আগে প্রকাশিত একটি জার্নাল অনুযায়ী ফেসবুক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপেই বার বার রেহাই পাচ্ছেন তিনি। ফেসবুকের ভারতীয় শাখার তৎকালীন পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাসের পক্ষপাতের কারণেই কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি রাজার বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য একাধিক অভিযোগের জেরেই বিধায়কের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন - প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলার ছক, উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত যুবক