সংক্ষিপ্ত
- সাংবাদিক সেজে গোরক্ষপুরে কেউ আক্রমণ করতে পারে যোগী আদিত্য়নাথকে
- জাতীয় ও রাজ্য় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসনকে
- জানা গিয়েছে সাংবাদিক সেজে কেউ আক্রমণ করতে পারে রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রীকে
- গোরক্ষপুর ও লক্ষৌতে তাই নতুন করে সাংবাদিকদের জন্য় পরিচয়পত্র তৈরির কাজ চলছে
এবার কি তবে প্রাণ সংশয়ের মুখোমুখি যোগী আদিত্য়নাথ? গোয়েন্দা রিপোর্ট নাকি এমন কথাই বলছে।
গোয়েন্দাদের কাছে নাকি খবর রয়েছে, যোগী আদিত্য়নাথকে কেউ আক্রমণ করতে পারে। আর সেই আক্রমণকারী সাংবাদিকের ছদ্মবেশ ধরতে পারে। আর তাই রাজ্য়ে সাংবাদিকদদের পরিচয়পত্র এখন নতুন করে তৈরি হচ্ছে। গোরক্ষপুরের পুলিশ এখন সাংবাদিকদের ছবি-সহ পরিচয়পত্র তৈরি করছে, যাঁরা মুখ্য়মন্ত্রী সভায় উপস্থিত থাকবেন। সেই বিশেষ সচিত্র পরিচয়পত্র যাঁদের কাছে থাকবে, তাঁরাই কেবল যোগী আদিত্য়নাথের সভায় সাংবাদিক হিসেবে থাকার অনুমতি পাবেন। রাজ্য়ের রাজধানী লক্ষৌতেও সাংবাদিকদে নতুন করে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে, সরকার স্বীকৃতি অ্য়াক্রিডিয়েশন কার্ড সত্ত্বেও সবাই মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে পারবেন না।
সার্কেল অফিসার জগদীশ সিং বলেন, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো থেকে আমাদের জানানো হয়েছে সাংবাদিক সেজে গোরক্ষপুরে যোগী আদিত্য়নাথকে কেউ আক্রমণ করতে পারে। তাদের নির্দেশ মতো আমরা সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দিচ্ছি। ইতিমধ্য়েই বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়ে গিয়েছে। অন্য়দের দেওয়ার কাজ চলছে।
গোরক্ষপুর জোনের এডিজি দাওয়া শেরপা বলেন, "রাজ্য় ও জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর পরামর্শ মতো আমরা মুখ্য়মন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্য়বস্থা আরও উন্নত করছি। শুধু নির্দিষ্ট কোনও সভার জন্য় নয়, সামগ্রিকভাবেই আমরা ঢেলে সাজাচ্ছি নিরাপত্তা ব্য়বস্থা।"
জানা গিয়েছে, শুধু গোরক্ষপুরেই নয়, লক্ষৌতেও জোরদার করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্য়বস্থা। সেখানেও সাংবাদিকদের জন্য় ওই বিশেষ পরিচয়পত্রের ব্য়বস্থা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁরা মুখ্য়মন্ত্রীর কাছাকাছি থাকবেন। এক আধিকারিকের কথায়, "লক্ষৌতে ৯০০ জন স্বীকৃতি সাংবাদিক রয়েছেন। আমরা চাইছি ওই সংখ্য়াটা কমিয়ে আনতে।"
এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি এবার নিরাপত্তার নামে পছন্দের সাংবাদিকরাই যোগী কাছে যেতে পারবেন?