সংক্ষিপ্ত

গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে জঙ্গি অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে ভারত। সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সীমান্তে বিএসএফ সদস্য মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে।

যেকোনও সময়ে ভারতে ঢুকে পড়তে পারে জঙ্গিরা। ইতিমধ্যেই সতর্ক করল গোয়েন্দা দফতর। এরপরেই মারাত্মক ভাবে নজরদারি বাড়ান হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায়।

এরপরই পেট্রোপোল ,গেঁদে, হিলি কোচবিহার, মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ সীমান্তগুলিতে কড়া নিরাপত্তা বাড়ান হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ থেকে যারা পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে আসছেন তাদেরও প্রচুর তল্লাশি করা হচ্ছে তারপর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে ভারতবর্ষে।

ইতিমধ্যেই সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করা হয়। সীমান্তে প্রচুর বিএসএফ-এর সংখ্যা বাড়ান হয়েছে।

বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন জেল থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন কয়েদি ও জঙ্গিরা। তারা যেকোনও সময়তেই ঢুকে পড়তে পারে ভারতে। তাই বিপুল পরিমাণে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে এই দেশে। সীমান্তবর্তী থানাগুলিতে ভীষণ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কলকাতাতেও প্রচুর নিরাপত্তা বাড়ান হয়েছে।

কেউ যাতে কোনও অশান্ত মূলক কাজ না করতে পারে, তার জন্য বিশেষ নজরে রেখেছেন পুলিশের সোর্স নেটওয়ার্ক। নিরাপত্তা বাড়ান হয়েছে কলকাতা বিমান বন্দরেও।

মঙ্গলবার বেলা এগারটা বেজে কুড়ি মিনিট নাগাদ ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ফের বাণিজ্য চালু হয় ।

প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার জায়গায় কাঁটা তারের বেহাল দশা ভারতীয় সীমান্তবর্তী ঘোজাডাঙ্গার দক্ষিণপাড়া এলাকায়। বলে গেলে প্রায় নেই কাঁটা তার। কাঁটা তারের এপারে ঘোজাডাঙ্গার দক্ষিণপাড়াআর ওই পাড়ে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার লক্ষ্মী দাড়ি এলাকা। এই পথে যেকোনও সময়তেই ঢুকে পড়তে পারে অনুপ্রবেশকারীর দল।

রাত নামলেই বাংলাদেশি চোরেরা এই পথে এসে হাঁস মুরগিও চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীরা।