সংক্ষিপ্ত
চলতি বছরের মে মাসেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালনকে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর মুক্তি চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টে আবেদন জানান নলিনী এবং রবিচন্দ্রন।
অবশেষে শেষ হচ্ছে সাজার মেয়াদ। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে মুক্তি পাচ্ছেন নলিনী-সহ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তরা। শুক্তবারই নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমারের মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগেই গত মে মাসে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন এই মামলার আর এক সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালন। তার ছ'মাসের মাথায় বাকি সাতজনেরও মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ শোনার পর নলিনীর কন্ঠে উঠে আসে,'আমি জঙ্গি নই।'
চলতি বছরের মে মাসেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালনকে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর মুক্তি চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টে আবেদন জানান নলিনী এবং রবিচন্দ্রন। গত জুন মাস নাগাদ মাদ্রাজ হাই কোর্ট নলিনীদের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার পরামর্শ দেয়। ১১ নভেম্বর শুক্রবার সেই আবেদন গ্রাহ্য করে নলিনী-সহ বাকি সাতজন সাজাপ্রাপ্তের মুক্তির নির্দেশ দেয়।
সময়টা ১৯৯১ সালের ২১ মে। তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী সভায় যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। সেই সভাতেই আত্মঘাতী বোমবিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। তদন্তে উঠে আসে শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই-র নাম। জানা যায় এই গোষ্ঠীর ধানু নামের এক মহিলা জঙ্গি নিজেকে বোমার সঙ্গে বেঁধে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হন সাতজন। নাম উঠে আসে নলিনী নামের এক মহিলারও। সাতজনেরই মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করা হয়। অবশেষে মৃত্যুদণ্ডের পরির্বতে যাবজ্জীন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন -
রাহুল গান্ধী ব্যস্ত ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে, গুজরাট নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোটবাক্সে থাবা আপের
আসন্ন গুজরাট নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের হয়ে লড়ছেন কারা? একনজরে দেখে নিন ছবি
অন্য মেজাজে মোদী, নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ভেঙে বেঙ্গালুরুতে আম জনতার সঙ্গে মিশে গেলেন প্রধানমন্ত্রী