সংক্ষিপ্ত

তাকে এমবিবিএস-এ ভর্তির অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না কিন্তু গণেশ বারাইয়া এই সিদ্ধান্তকেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এখন গুজরাটের সরকারি হাসপাতালে নিযুক্ত ডাঃ গণেশ বারাইয়া বিশ্বের সবচেয়ে কম উচ্চতা সম্পন্ন চিকিৎসক হয়েছেন।

ডাঃ গণেশ বারাইয়া। আর পাঁচজন চিকিৎসকের মতোই রোগী দেখে দিন কাটে তাঁর। কিন্তু তাঁর গল্পটা অন্য জায়গায় সবার থেকে আলাদা। অন্য কারো কাছে ডাক্তার হওয়া সাধারণ ব্যাপার হতে পারে কিন্তু ডাঃ গণেশ বারাইয়ার জন্য এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং সংগ্রামে পূর্ণ এক কাহিনি। কারণ গণেশ তিন ফুট লম্বা ছিলেন। উচ্চতার কারণে গণেশ বারাইয়াকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়তে হয়েছে। এর আগে তাকে এমবিবিএস-এ ভর্তির অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না কিন্তু গণেশ বারাইয়া এই সিদ্ধান্তকেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এখন গুজরাটের সরকারি হাসপাতালে নিযুক্ত ডাঃ গণেশ বারাইয়া বিশ্বের সবচেয়ে কম উচ্চতা সম্পন্ন চিকিৎসক হয়েছেন।

তার সাফল্য সম্পর্কে ডাঃ গণেশ বারাইয়া বলেছেন, 'মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার কমিটি আমাকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করে যে আমি মাত্র ৩ ফুট লম্বা এবং আমি জরুরী কেস পরিচালনা করতে পারব না। এরপরেই ভাবনগর কালেক্টরের নির্দেশে আমি গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই। দুই মাস পর আমরা মামলায় হেরে যাই এবং তারপর ২০১৮ সালে আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আমি ২০১৯ সালে এমবিবিএস-এ ভর্তি হই।

সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ভর্তি

তিনি বলেন, 'আরো দুইজন প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করলেও আমরা মামলায় হেরেছি। এটা আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছিল কিন্তু আমরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলাম। ডঃ গণেশ সরকারি মেডিকেল কলেজ, ভাবনগর থেকে এমবিবিএস পড়েছেন। উল্লেখ্য, গণেশ বারাইয়া মাত্র ২৩ বছর বয়সী। তার বাবা বলেছেন যে গণেশের বুদ্ধি ছোটবেলায় বাড়তে শুরু করলেও তার উচ্চতা বাড়ছিল না।

একবার এমন হয়েছিল যে এক ব্যক্তি গণেশকে ১লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিলেন, বিনিময়ে তাকে বামন হিসাবে সার্কাসে যেতে হয়েছিল। এতে তার বাবা-মায়ের খুব কষ্ট হয়। গণেশকে কেউ অপহরণ করতে পারে এই আশঙ্কায় তার বাবা নিজে গণেশকে নিয়ে স্কুলে যেতেন।

স্কুলে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার পর গণেশের বাবা বিঠল তাকে দলপত কাটারিয়ার স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন। দলপত কাটারিয়া গণেশকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। দলপত মামলা লড়তে ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যও দিয়েছিলেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।