সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফ্ল্যাগ অফ করলেন দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।জেনে নিন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আপগ্রেড সংস্করণের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফ্ল্যাগ অফ করলেন দক্ষিণ ভারতের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। গুজরাট ও হিমাচলপ্রদেশের পর এবার কর্নাটকে চলবে এই এক্সপ্রেস । দক্ষিণ ভারতে প্রথমবার চালু হল এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন। শুক্রবার কেএসআর বেঙ্গালুরু স্টেশন থেকে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের শুভসূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী স্বয়ং । বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশন পর্যন্ত যাবে এই ট্রেন। যাত্রাপথে অন্তত ৪০টি স্টেশনে দাঁড়াবে এই ট্রেন। গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। এছাড়াও ‘ভারত গৌরব’ নামে আরও একটি ট্রেনের উদ্বোধন করেন তিনি। তীর্থযাত্রীদের কথা ভেবে বারাণসী পর্যন্ত যাত্রাপথ রাখা হয়েছে এই ট্রেনের। উল্লেখ্য, এর আগে দক্ষিণ ভারত থেকে বারাণসী পর্যন্ত কোনও ট্রেন ছিল না। শুক্রবার বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরের একটি নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনালেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত মাসেই হিমাচলপ্রদেশ থেকে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভোটের মুখে ওই ট্রেন উদ্বোধন হওয়ায় এই নিয়ে বিজেপিতে নিশানা করেছিল বিরোধীরা
প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ১৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৯-এ নতুন দিল্লি-কানপুর-এলাহাবাদ-বারাণসী রুটে ছেড়েছিল।বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আপগ্রেড সংস্করণে এটি আরও আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেবে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আপগ্রেড সংস্করনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য একনজরে---
১.ট্রেনের বাহ্যিক চেহারাটি এরোডাইনামিক আকারে ডিজাইন করা । এটিতে উন্নত অত্যাধুনিক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কবচ প্রযুক্তি আছে। এই কবজ প্রযুক্তি ট্রেনের সংঘর্ষ এড়াতে সাহায্য করে।
২.এর কর্মক্ষম গতি ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বগিগুলিতে একটি উন্নত অত্যাধুনিক সাসপেনশন সিস্টেমের থেকে ট্র্যাকশন মোটরকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা হয়েছে। যা ট্রেনের দৌড়োনোকে আরও মসৃণ এবং নিরাপদ করে তুলেছে ।
৩.এটির প্রতিটি প্রান্তে একটি ড্রাইভারের কেবিন রয়েছে। সমস্ত ক্লাসেই হেলান দেওয়া আসনের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি নির্বাহী কোচেই ১৮০-ডিগ্রী ঘূর্ণায়মান আসন আছে। এই ঘূর্ণন আসনগুলি ভ্রমণের সময় ট্রেন যেদিকে ছুটবে সেই দিকেই সারিবধ্য ভাবে থাকে।
৪. কোচের মধ্যেই ৩২-ইঞ্চি স্ক্রিন রয়েছে যা যাত্রীদের অডিও-ভিশুয়ালের মাধ্যমে নানা তথ্য বাবা-ইনফোটেইনমেন্ট সরবরাহ করবে।
৫.ট্রেনটিতে অক্ষম-বান্ধব শৌচাগার রয়েছে এবং সিট হ্যান্ডেলগুলিতে সিট নম্বর ব্রেইলে লেখা রয়েছে।
৬. কোচের বাইরে ৪ টি প্লাটফর্ম সাইড ও ৪ টি রিয়ারভিউ ক্যামেরা থাকবে। ট্রেনটিতে ব্যবহৃত রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করবে।
৭.ইন্টেলিজেন্ট ব্রেকিং সিস্টেম ট্রেনটির ত্বরণ ও মন্দন নিয়ন্ত্রণ করবে। জরুরি অবস্থা হলে লোকো পাইলট বা ট্রেন গার্ডের মাধ্যমে যাত্রীরা একে ওপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
৮. ট্রেনটিতে স্বয়ংক্রিয় দরজা ,ফায়ার সেন্সর, সিসিটিভি ক্যামেরা, অন-বোর্ড ওয়াই-ফাই সুবিধা, ৩ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং জিপিএস সুবিধা থাকবে। এটি অন্যান্য ট্রেনের চেয়ে হালকা হবে।
আরও পড়ুন---
ডানপন্থীদের চোখরাঙানিতে শো বন্ধ বেঙ্গালুরুতে, বীর দাসকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানাল তৃণমূল
রাস্তার পাশে মাইকে চলা গানের ছন্দে কোমর দোলালেন জম্যাটো বয় ,তার নাচের এই ভিডিও নজর কাড়লো নেটদুনিয়ায়