সংক্ষিপ্ত

  • কৃষি আইন নিয়ে আবারও আসরে প্রধানমন্ত্রী
  • বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা 
  • বিরোধিতার জন্যই চলছে বিক্ষোভ 
  • কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল নরেন্দ্র মোদীর 
     


কৃষি আইন নিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুক খুললেন। আবারও নিশানা করেন কংগ্রেসসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কিছুটা স্পষ্ট করেই বলে দেন বিরেধীরা শুধুমাত্র বিরোধিতা আর রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই কৃষি আইনের বিরোধিতা করছে। আর  এই বিরোধিতার কারণে রাজনৈতিক দলগুলি দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। এর আগেই কৃষি বিলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে। এই বিলেই লেখা রয়েছে কৃষকদের মুক্তি। বিরোধীদের থেকে কৃষকদের সাবধানে থাকতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও কৃষি ক্ষেত্রে অসন্তোষ কিছুটা হলেও প্রকট হয়েছে। আর সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে আবারও আসরে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী। এবারও তিনি কৃষি আইনের সমর্থন করে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন। 

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুটা চড়া সুরেই নাম না করে আক্রমণ করেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। আর সেই প্রসঙ্গেই উল্লেখ করেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, বিশ্ব যোগ দিবস আর সর্দার প্যাটেলের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ভারতের নেতৃত্বে যখন প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করা হয়েছিল তখন বিরোধীরা তার বিরোধিতা করেছিল। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের কথা স্মরণ করে যখন স্ট্যাচু অব ইউনিটি তৈরি হয়েছিল তখনও তার বিরোধিতা করা হয়েছিল। আর পর্যন্ত কোনও বিরোধী রাজনৈতিক নেতা সেই স্ট্যাচু দেখতে যাননি বলেও আক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বলেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকেরও প্রমান চেয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলি। যাতে স্পষ্ট হয়ে গেছে তাদের উদ্দেশ্য। 

প্রেধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাম না করেই একহাত নেন পঞ্জাবের যুব কংগ্রেসের সদস্যদের। সোমবার সাতসকালেই পঞ্জাবের যুব কংগ্রেসের সদস্যরা দিল্লির ইন্ডিয়ার গেটের সামনে একটি ট্রাক্টর পুড়িয়ে কৃষি আইনের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদী বলেন  এই জাতীয় ঘটনার কৃষকদের অপমান করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি আইন কৃষকদের স্বাধীনতা দেবে বলেও সওয়াল করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ মেনেই নতুন আইন পাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগের সরকার বছরের পর বছর ধরে এমপিএস বা নূন্যতম সহায়কমূল্য বাস্তবায়ন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা সংস্কারের পথে হাঁটেনি। নতুন কৃষি আইনে কৃষকরা মধ্যসত্ত্বোভোগীদের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলেও তিনি সওয়াল করেন। তিনি বলেন এমপিএস থাকবে, পাশাপাশি কৃষকরা তাঁদের তৈরি পণ্য যেকোনও স্থানে গিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।