সংক্ষিপ্ত
সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে যে করোনার প্রথম তরঙ্গের সময়, মুম্বই ৭০৬জন আক্রান্ত থেকে ১৩৬৭ জনের সংক্রমণে পৌঁছতে ১২দিন সময় নিয়েছিল। দ্বিতীয় তরঙ্গের ক্ষেত্রে ৬৮৩জন আক্রান্ত থেকে ১৩২৫ জনে পৌঁছতে ২০দিন সময় লেগেছিল।
মঙ্গলবার একধাক্কায় অনেকটা বাড়ল করোনা আক্রান্তের (Corona Positive) সংখ্যা। ফলে এই বৃদ্ধিতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গের (Third wave in Mumbai) সূচনা বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। একদিনে শহরে ১৩৭৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ঠিক একদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮০৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। বিএমসি (BMC) বা বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (Brihanmumbai Municipal Corporation) জানিয়েছে প্রথম বা দ্বিতীয় করোনা তরঙ্গে চেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে যে করোনার প্রথম তরঙ্গের সময়, মুম্বই ৭০৬জন আক্রান্ত থেকে ১৩৬৭ জনের সংক্রমণে পৌঁছতে ১২দিন সময় নিয়েছিল। দ্বিতীয় তরঙ্গের ক্ষেত্রে ৬৮৩জন আক্রান্ত থেকে ১৩২৫ জনে পৌঁছতে ২০দিন সময় লেগেছিল।
উদ্বেগজনক যে বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে তা হল তৃতীয় তরঙ্গের সময় মুম্বইতে ৬৮৩ থেকে ১৩৭৭ সংখ্যায় যেতে মাত্র ৪দিন সময় লেগেছে। ২১ থেকে ২৭শে ডিসেম্বরের মধ্যেই ০.০৭ শতাংশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে, মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘন্টায় ২১৭২টি নতুন করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনের কোনও নতুন কেস সনাক্ত হয়নি। তবে ওমিক্রনে আক্রান্ত ৯১ জন মঙ্গলবার সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের ১৬৭ টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে যার মধ্যে ৯১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে ১৬৭টি কেসের মধ্যে মুম্বইতে সর্বোচ্চ ৮৪জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরে পিম্পরি-চিঞ্চওয়াদ (১৯), পুনে গ্রামীণ (১৭), পুনে এবং থানে পৌর কর্পোরেশন (প্রতিটিতে সাতজন করে) করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
কল্যাণ-ডম্বিভালি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (থানে জেলা), ঔরঙ্গাবাদ এবং মধ্য মহারাষ্ট্রের নান্দেদে নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন দুজন করে।
একজন করে ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন বুলধানা, লাতুর, আহমেদনগর, আকোলা, ভাসাই-ভিরার, নভি মুম্বাই, মীরা-ভায়ান্দর, ভিওয়ান্ডি-নিজামপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং পালঘর জেলায়। এদিকে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই দেশে কোভিড-১৯ (Covid-19) আক্রান্তের পরিসংখ্যন বাড়তে পারে। এটি স্বল্প স্থায়ী করোনা তরঙ্গের দিকেও যেতে পারে। কারণ অত্যন্ত মারাত্মক করোনাভাইারসের (Coronavirus) নতুন রূপ ওমিক্রনের (Omicron) মাধ্যমে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৪০ কোটির এই দেশে ওমিক্রন খুব দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল কাট্টুমান ভারতের কোভিড পর্যালাচনা করে তেমনই দাবি করেছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চলতি সপ্তাহের শেষেই ভারতে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান দ্রুত হারে বাড়়িয়ে দেবে ওমিক্রন। তবে তিনি বলেছেন দৈনিক সংক্রমণ কতটা বাড়তে পারে তা এখনই অনুমান করা সম্ভব নয়।
ভারতের এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৩৪.৮ মিলিয়ন। মৃত্যু হয়েছে ৪৮০.২৯০। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারত আরও একটি প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে মোকাবিলার প্রস্তুতিত নিচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫৩। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত বৃদ্ধি ও অসুস্থদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি দেশের টিন এজারদেরও কোভিড টিকা দেওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগামী দিনে ১৫-১৮ বছর বয়সীরা কোভিড টিকা পাবেন। দেশের টিকার চাহিদা পুরণ করতে আরও নতুন দুটি টিকা ও একটি ওষুধকে করোনা চিকিৎসায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।