সংক্ষিপ্ত
- ১৯২৬ সালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৯৮.৭ মিলিমিটার
- ২০০৯ সালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮৫.৭ মিলিমিটার
- ২০১৪ সালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৯৫.৪ মিলিমিটার
- ২০১৯ সালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯৭.৯ মিলিমিটার (এখনও পর্যন্ত)
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। এদেশে গত ১০০ বছরে সবথেকে শুষ্ক পাঁচ মাসের মধ্যে অন্যতম হল এই বছরের জুন মাস। সারা দেশ জুরে এবার জুনমাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৫ শতাংশ, যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম। জুন মাস শেষ হতে বাকি আর মাত্র দু'দিন। আর এই দু'দিনের মধ্যে এই বিপুল ঘাটতি মেটানো কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন আবহবিদরা।
সারাদেশে জুন মাসের মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯৭.৯ মিলিমিটার, যা স্বাভাবিক (১৫১.১ মিলিমিটার)-এর তুলনায় অনেকটাই কম। মনে করা হচ্ছে এমাসের শেষে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০৬ থেকে ১১২ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
রেকর্ড বলছে এর আগে গত ১০০ বছরে জুন মাসে এর থেকেও কম বৃষ্টিপাত হয়েছিল ১৯২৩ সালে। সেবছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১০২ মিলিমিটার, ১৯২৬ সালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৯৮.৭ মিলিমিটার, ২০০৯ সালে জুনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮৫.৭ মিলিমিটার, এবং ২০১৪ সালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৯৫.৪ মিলিমিটার।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে বর্ষার সময়ে এল নিনোর প্রভাবে বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। কারণ এল নিনোর ফলে, প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলে উত্তাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি হওয়ার কারণে হাওয়ার অভিমুখ বদলে যাওয়ার ফলে বৃষ্টিপাত ব্যহত হয়েছিল।
তবে গত ১০০ বছরে এদেশে জুন মাস অন্যতম শুষ্ক হলেও এর মধ্যেই সুখবর দিয়েছে মৌসম ভবন। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী মাসের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হওয়ার জন্য ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।