সংক্ষিপ্ত
- নাইট কার্ফুর মাঝে পাতিয়ালা জেল থেকে পলাতক তিন বন্দি
- জেলের দেওয়াল ফুটো করে পালায় তিন আসামী
- পলাতক এক বন্দিকে গ্রেট ব্রিটেন থেকে ধরে আনা হয়েছিল
- তাদের খোঁজ এখনও মেলেনি
'এস্কেপ ফ্রম আলকাট্রাজ' থেকে দ্য 'শশাঙ্ক রিডেম্পশন'- কয়েদির বুদ্ধিমত্তা দেখিয়ে জেল পালানোর কাহিনি নিয়ে সিনেমায় সিদ্ধহস্ত হলিউড। এবার সেই হলিউডের সিনেমার স্টাইলেই দেশের এক জেল থেকে বুদ্ধি করে পালাল তিন বন্দি। নাইট কার্ফুর সুযোগ আর বুদ্ধিখাটিয়ে একেবারে নি:শব্দে জেল থেকে পালিয়ে গেল পাতিয়ালা জেলের তিন বন্দি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অত্যধিক বাড়ায় পঞ্জাব জুড়ে এখন নাইট কার্ফু। সেই নাইট কার্ফুর মাঝে রাতে পাতিয়াল জেলের দেওয়াল ফুটো করে পালায় তিন বন্দী। পলাতক তিন বন্দিই আবার একেবারে দাগী আসামী। রাজ্যজুড়া চলা নাইট কার্ফুর মাঝে এরা তিনজন কী করে পালিয়ে গেল, কঠোর নিরাপত্তার মাঝে জেলের দেওয়াল ফুটো করার সময় কেন কেউ টের পেল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জেলের সুপার জানান, ''আজ সকালে দেখা যায় জেলের দেওয়াল ফুটো হয়ে আছে। সেলের তিনজন বন্দি নিখোঁজ। রাতে জেলে রক্ষী ছিল। তারপরেও কী করে এমন ঘটনা ঘটল তার তদন্ত করা হবে।"
আরও পড়ুন: অক্সিজেন থেকে পাঁচতারা হোটেল, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লি সরকারকে তুলোধনা হাইকোর্টের
পলাতক তিন বন্দির মধ্যে একজন ২২ বছর কারাদণ্ডের সাজা খাটছিলেন। অনেক কষ্ট করে শের সিং নামের ওই বন্দিকে গ্রেট ব্রিটেন থেকে ভারতে ধরে আনা হয়েছিল। শের সিংকে ধরতে গ্রেট ব্রিটেনের সঙ্গে বন্দি প্রত্যপর্ন চুক্তিও সারা হয়। গত সপ্তাহেই এই হাইপ্রোফাইল বন্দিকে ভাথিন্ডা জেল থেকে পাতিয়ালা জেলে স্থানান্তর করা হয়। তার মধ্যে সবার চোখে ধুলো দিয়ে পালালেন শের সিং। পাতিয়ালা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী সব রাজ্যে খবর দেওয়া হয়েছে এই জেল পালানোর ঘটনা। শের সিংয়ের সঙ্গে যারা পালিয়েছেন তারা হলেন ইন্দ্রজিৎ সিং, জশপ্রীত সিং।
বিশ্ব সিনেমার সর্বকালের অন্যতম সেরা সিনেমা হিসেবে ধরা হয় 'শশাঙ্ক রিডেম্পশন'-কে। এই সিনেমায় দেখানো হয় কীভাবে এক বন্দি অনেক অত্যাচার, কঠোর নিরাপত্তার পরও কঠিনতম জেলের সেলে বসে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে সুড়ঙ্গ কেটে জেল থেকে পালিয়ে যান। শের সিংরা সুড়ঙ্গ করেননি অবশ্য, দেওয়ালে ফুটো করেই পালালেন।