সংক্ষিপ্ত
- মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলায় উদ্ধার করা হল একটি বাঘের ছানার মৃতদেহ
- সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বাঘটির বয়স আনুমানিক ১৫ থেকে ১৮ মাস
- ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ঘুনঘুটি জঙ্গল এলাকায়
মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলায় উদ্ধার করা হল একটি বাঘের ছানার মৃতদেহ। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বাঘটির বয়স আনুমানিক ১৫ থেকে ১৮ মাস। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ঘুনঘুটি জঙ্গল এলাকায়।
২৯ জুলাই আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্য দিবসের দিন প্রকাশিত বাঘ সুমারির রিপোর্টে মধ্যপ্রদেশকে 'টাইগার স্টেট' হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের বাঘ সুমারির রিপোর্ট বলছে মধ্যপ্রদেশে ৫২৬টি বাঘ রয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়ে গত তিন দিনের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে তিনটি বাঘের প্রাণ গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ময়না তদন্তে এই বাঘটির শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন দেখা পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে নিজেদের মধ্য লড়াই করতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছে ওই শাবক। বাঘ সুমারির রিপোর্ট প্রকাশের ঠিক একদিন আগেই বান্ধবগড় পার্কের কালওয়া এলাকায় একটি বাঘ-শাবকের দেহ উদ্ধার করা হয়।
এবারের বাঘ সুমারির রিপোর্ট পেশ করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খানিকটা রসিকতার সুরেই বলেছিলেন গল্পটা শুরু হয়েছিল 'এক থা টাইগার' দিয়ে যা এখন এসে পৌঁছেছে 'টাইগার জিন্দা হ্যায়'-তে। আর এর শেষ এখানেই হওয়া উচিত নয় বলেন তিনি। 'বাঘও ম্যায় বহার হ্যায়' হওয়া দরকার বলে জানান তিনি। বাঘ সুমারির রিপোর্টে বলা হয় যে, এদেশে বর্তমানে ৩০০০ বাঘ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আজ গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন যে ৩০০০ বাঘ নিয়ে আজ ভারত বিশ্বের মধ্যে বাঘের জন্য অন্যতম বড় এবং নিরাপদ বাসস্থান।
কিন্তু একের পর এক বাঘ-শাবকের মৃত্যুতে এখন প্রশ্ন উঠছে এদেশ কি আদৌ বাঘের বসবাসের পক্ষে নিরাপদ। প্রাকৃতিকভাবে মৃত্যুর ঘটনা বাদ দিয়েও যেভাবে নির্বিচারে পিটিয়ে বাঘ মেরে ফেলা হচ্ছে সেই ঘটনাই বলে দিচ্ছে এদেশে বাঘের প্রজাতি মোটেও নিরাপদ নয়। দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট জেলার মাটাইনায় পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল একটি ছয় বছরের বাঘিনীকে। গ্রামবাসীরাই তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে বলে খবর। এখানেই শেষ নয় গোটা ঘটনাটির ভিডিও শ্যুটও করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় বনকর্মীদেরও ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। স্বভাবতই দিনের পর দিন যেভাবে নির্বিচারে বাঘ মেরে ফেলা হচ্ছে তাতে মোদীর 'বাঘো ম্যায় বহার হ্যায়' আদৌ রূপায়িত হবে কি না তাই এখন প্রশ্নের মুখে।