সংক্ষিপ্ত
৮ ডিসেম্বর, শুক্রবার তাঁর সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সেই ঘটনার পর ১১ ডিসেম্বর, সোমবার, লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন তৃণমূল নেত্রী।
'ক্যাশ ফোর কোয়ারি' মামলায় লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র (Mohua Moitra)। ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে বহুমূল্য দরের উপহার নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার দায়ে চলে গিয়েছে তাঁর সাংসদ পদ। ৮ ডিসেম্বর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আরও একবার কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বর্ষণ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতারা। সেই ঘটনার পর ১১ ডিসেম্বর, সোমবার, লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন তৃণমূল নেত্রী।
-
শুক্রবার, তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে 'অনৈতিক আচরণ' করার দায়ে অভিযুক্ত বলে ভারতীয় লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল । তাঁর বিরুদ্ধে নগদ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে কেলেঙ্কারি সম্বন্ধীয় তদন্তকারী সংসদীয় নীতিশাস্ত্র কমিটি। সেই বিষয়ক রিপোর্ট পেশ করার পরে লোকসভায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। অন্যান্য সাংসদদের মধ্যে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করার পক্ষে -বিপক্ষে ভোট পড়তে থাকে। বহু নেতারা ওয়াক আউট করেন।
-
সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ মহুয়া নতুন পার্লামেন্টের বাইরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে এথিক্স প্যানেলের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কেন্দ্রের শাসকদল এই নীতিশাস্ত্র কমিটির অপব্যবহার করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, 'এথিক্স প্যানেল আমাকে নৈতিকতার বিধি লঙ্ঘন করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে, যেটার কোনও অস্তিত্বই নেই। তাদের (তদন্তকারীদের) অনুসন্ধানগুলি শুধুমাত্র দুটি ব্যক্তিগত নাগরিকের লিখিত সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে, যার সংস্করণ একে অপরের সাথে বিরোধিতা করে। কোথাও আমার উপহার গ্রহণ করার কোনও প্রমাণ নেই।"
-
এই অভিযোগ তোলার ঠিক দু'দিন পরেই নীতিশাস্ত্র কমিটির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মহুয়া। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট যা রায় দেবে, তার ওপরেই নির্ভর করবে কৃষ্ণনগরের সাংসদ হিসেবে তাঁর পদ পুনরায় ফিরে পাওয়া অথবা না-পাওয়া।