সংক্ষিপ্ত

বিরোধীদের দাবি নিয়ম অনুযায়ী স্পিকার পদে থাকে শাসক দলের সাংসদ। আর ডেপুটি স্পিকার পদে বিরোধীদের জন্য বরাদ্দ। কিন্তু মোদী সরকার ডেপুটি স্পিকার পদ বিরোধীদের দেওয়া হবে কিনা তা এখনও জানায়নি।

 

স্পিকারের পর এবার সংসদে ডেপুটি স্পিকারের পদ নিয়েও লড়াইয়ের আশঙ্কা রয়েছে। বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ডেপুটি স্পিকার পদের জন্য প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে। পাল্টা শাসক জোট এনডিএ ডেপুটি স্পিকার পদ ছাড়তে নারাজ। এই অবস্থায় ডেপুটি স্পিকার পদে প্রার্থী হিসেবে মোদী সরকারকে কাহিল করতে এমন এক নাম প্রস্তাব করেছে তৃণমূল কংগ্রেস যা নিয়ে কিছু বলার নেই কংগ্রেসেরও। সূত্রের খবর তৃণমূল কংগ্রেস ডেপুটি স্পিকার পদের জন্য উত্তর প্রদেশের ফৈজাবাদের সাংসদ তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অবধেষ প্রসাদের নাম প্রস্তাব করেছেন। ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের জন্য এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। ১৭তম লোকসভায় অর্থাৎ গত লোকসভাতেও ডেপুটি স্পিকারের পদ ফাঁকা ছিল। কাউকে নিযুক্ত বা মনোনীত করা হয়নি।

বিরোধীদের দাবি নিয়ম অনুযায়ী স্পিকার পদে থাকে শাসক দলের সাংসদ। আর ডেপুটি স্পিকার পদে বিরোধীদের জন্য বরাদ্দ। কিন্তু মোদী সরকার ডেপুটি স্পিকার পদ বিরোধীদের দেওয়া হবে কিনা তা এখনও জানায়নি। আর সেই কারণে স্পিকার পদের মত ডেপুটি স্পিকার পদের জন্য লড়াইয়ে ময়দানে নামবে বিরোধীরা। হার নিশ্চিত মেনেও লড়াইয়ে থাকবে বলেও বিরোধী সূত্রের খবর। আর ডেপুটি স্পিকার পদে বিরোধীদের প্রার্থী হতে পারেন অবধেষ প্রসাদ।

ফৈজাবাদ লোকসভা কেন্দ্র- এই কেন্দ্রের মধ্যেই রয়েছে অযোধ্যার মত হটস্পট। যা এবার নির্বাচনে বিজেপি তথা শাসক দলের সবথেকে বড় এজেন্ডা ছিল। সেখানেই বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে সংসদে গিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অবধেষ প্রসাদ। তাই সংসদে বিরোধীদের কাছে তাঁর গুরুত্বই বিশেষ। দলিত প্রার্থী অবধেষকেই লোকসভায় বিরোধীদের মুখ করতে প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনটাই জানিয়েছে বিশেষ সূত্র। আর মমতার প্রস্তাবিত নাম নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করছেন বলেও সূত্রের খবর।

ফৈজাবাদ থেকে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে অবধেষ প্রসাদ হারিয়েছেন বিজেপির লাল্লু সিংকে। রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেও এই কেন্দ্রে বিজেপি জিততে না পারা নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়েছিল। কঠিন কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে হারানোর পরে গোটা দেশেই আলোচনা হয়েছিল অবধেষ প্রসাদের নাম নিয়ে। এবার তাঁকেই স্পিকার পদে দেখতে চান এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

ডেপুটি স্পিকার পদের গুরুত্ব অনেক। আইনি ক্ষমতাও রয়েছে। মৃত্যু, অসুস্থতা- অন্য কোনও কারণে স্পিকার সংসদে অনুপস্থিত থাকলে সংসদ পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে ডেপুটি স্পিকার ওপর।