সংক্ষিপ্ত
জি২০ দেশগুলি শনিবার ইউক্রের বিরুদ্ধে রাশিয়া যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সেসম্পর্কে সরাসরি কোনও কথা বলেনি। সরাসরি মস্কোর সমালোচনা না করে জি২০ ভুক্ত দেশগুলি বলেছে, বিশ্বের সমস্ত দেশই ইউক্রেনে সম্পূর্ণ শান্তি ন্যায় কামনা করে।
ভারত জি২০ সভাপতিত্বে একটি মাইলফলক অর্জন করেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে বিশ্বের সব দেশ। তবে এই বিষয়ে সহমতে আসার জন্য কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। তারপরই রাশিয়ার নাম না করে যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়েচে। বলা হয়েছে, 'পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি কখনই মেনে নেওয়া যায় না।'
জি২০ দেশগুলি শনিবার ইউক্রের বিরুদ্ধে রাশিয়া যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে সেসম্পর্কে সরাসরি কোনও কথা বলেনি। সরাসরি মস্কোর সমালোচনা না করে জি২০ ভুক্ত দেশগুলি বলেছে, বিশ্বের সমস্ত দেশই ইউক্রেনে সম্পূর্ণ শান্তি ন্যায় কামনা করে। একই সঙ্গে বিশ্বের একাধিক দেশ বলেছেন, আঞ্চলিক অধিগ্রহণের জন্য হুনকি বা শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকা জরুরি।
ইন্দোনেশিয়ায় গত বছর শীর্ষ সম্মেলনের পর জি২০ ঘোষণাটি আরও স্পষ্ট ছিল। রাষ্ট্র সংঘের একটি প্রস্তাবের নিন্দা করে কড়ায় ভাষায় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসের তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। এই বছরের ঘোষণা এই বছর ৩৭ পাতার একটি নথি ভারত প্রস্তাব আকারে পেশ করে। অমিতাভ কান্তা বলেছেন, ১০০ শতাংশ ঐক্যমত্য অর্জন করেছে ভারতের প্রস্তাব।
জি২০তে পেশ করা নথি অনুযায়ী, 'আমরা বিশ্ব খাদ্য জ্বালানি নিরাপত্তা, সরবরাহ চেইন, সামষ্টিক আর্থিক স্থিতিশীলতা, মুদ্রাস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইউক্রেনের যুদ্ধের মানবিক দুর্ভোগ নেতিবাচক যুক্ত প্রভাবগুলি তুলে ধরেছি। যা বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলি জন্য নীতি পরিবেশক জটিল করে তুলেছে। যে দেশগুলি এখনও কোভিড ১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার করেছে ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করেছে যুদ্ধ। '
আজকের যুগ যুদ্ধের জন্য নয়
'আমরা সমস্ত রাষ্ট্রকে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব , আন্তর্জিক মানবিক আইন, শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বহু পাক্ষিক ব্যবস্থা সহ আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলিতে সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাই। সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান জরুরিষ আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় একজোট হয়ে কাজ করব। ইউক্রেনের প্রতি যা অন্যায় হচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ইউক্রেন শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। রাষ্ট্র সংঘের সনদের সমস্ত উদ্দেশ্য ও নীতিগুলিকে মেনে চলতে হবে। তাতেই পরিষ্কার হবে এক পৃথিবী এক পরিবার ভাবনা। প্রতিটি দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ , বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি। '