সংক্ষিপ্ত
কড়া নিরাপত্তায় ত্রিপুরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বাম বনাম বিজেপিই মূল লড়়াই। তবে ফ্যাক্টর তৃণমূল ও টিরপা মোথা।
কড়া নিরাপত্তায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বিজেপি। পাঁচ বছর আগে মসনদ হারানো সিপিএমও এবার এককালের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিপুরার ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে। এই অবস্থায় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে টিরপা মোথা। এক নজরে দেখে নিন ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের সেরা ১০টি ফ্যাকট।
১. ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ত্রিপুরার ক্ষমতায় ছিল সিপিআই(এম)। ২০১৮ সালে বিজেপির হাতে ক্ষমতা হারাতে হয় বামেদের। গত নির্বাচনে বিজেপি ৬০এর মধ্যে ৩৬ টি আসন দখল করেছিল। ত্রিপুরা দখলের ম্যাজিক ফিগার ৩১।
২. বিজেপি সেই সময় আঞ্চলিক আইপিএফটিকে সঙ্গে নিয়েই ত্রিপুরার সরকার গঠন করেছিল। প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিল্পব দেব। পরবর্তীকালে রাজ্যের শাসনভার চলে যায় মানিক সাহার হাতে।
৩. চলতি বছর ত্রিপুরার ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া সিপিআই (এম)। চার বারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। দীর্ঘ দিন বিরোধী কংগ্রেসের সঙ্গেই হাত মিলিছে গেরুয়া শিবিরকে পরাস্ত করার জন্য। বামেরা ৪৭টি আসনে লড়াই করছে। কংগ্রেসের ভাগে রয়েছে ১৩টি আসন।
৪. ২০১৮ সালে সিপিআই(এম) মাত্র ১৬টি আসনে জয় পেয়েছিল। পুরনো আসনগুলি ধরে রাখতে মরিয়া বামেরা। পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের আশা জোট করে আরও ১৩টি আসন তারা পেয়ে যাবে।
৫. ত্রিপুরা নির্বাচনে এবার বড় ফ্যাক্টর টিপরা মোথা। যাদের দাবি বৃহত্তর টিপরাল্যান্ড। দলের প্রধান প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাই তাদের মূলত ভোটব্যাঙ্ক। ২৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে এই দল।
৬. টিপরা মোথার সঙ্গে প্রথমে জোট করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু পরবর্তীকালে গেরুয়া শিবির পিছিয়ে আসে। আপাতত একাই ভোট ময়দানে টিপরা মোথা। তবে এই দল নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর। সরকার গঠনের সময় বাম বা গেরুয়া যে শিবিরেই যাবে তাদের লাভ বেশি।
৭. তবে সম্প্রতি ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ টিরপা মোথাকে বাম কংগ্রেসের বি-টিম বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এই দলটি ত্রিপুরা ভাগ করতে চায়। যাইহোক সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
৮. ত্রিপুরায় দারুনভাবে খাতা খুললেও পরবর্তীকালে ভোট যুদ্ধে কিছুটা হলেও পিছিয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। কংগ্রেস ছড়ে কয়েক জন বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেও পরে তারা দল বদল করে। যাতে কিছুটা হলেও অস্বস্তি বাড়িছে। যদিও বাম ও বিজেপি দুই শিবিরের অভিযোগ ত্রিপুরায় ভোট কাটার দল তৃণমূল।
৯. অন্যদিকে ত্রিপুরার দায়িত্বে রয়েছে এই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় দলের ফলাফলের ওরেও তাঁর ভবিষ্য়ৎ অনেকটাই নির্ভর করছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
১০. ত্রিপুরা নির্বাচনে প্রচারে রীতিমত ঝড় তুলেছিলেল গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক জনসভা করেন। পাশাপাশি গিয়েছিলেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকও ভোট প্রচারে যান। বামেদের হয়ে মানিক সরকার প্রচার করলেও গিয়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। তবে ভোট পরিবারের গান্ধী পরিবারের কেউ ছিল না।