সংক্ষিপ্ত

শেয়ার বাজারে রক্তক্ষরণ অব্যাহত

বাজার খোলার পরপরই ৪৫ মিনিটের জন্য লেনদেন স্থগিত রাখতে হল

দুই ভারতীয় বেঞ্চমার্ক সূচকই প্রায় দশ শতাংশ পড়েছে

বিশ্বের অন্যান্য বাজারের অবস্থাও তথৈবচ

শুক্রবারও শেয়ার বাজারের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত। বলা ভালো অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। শুক্রবার বাজার খোলার পরপরই ৪৫ মিনিটের জন্য লেনদেন বন্ধ করে দিতে হয়। কারণ এনএসই নিফটি ও বিএসই সেনসেক্স - দুই বেঞ্চমার্ক সূচকেই প্রায় দশ শতাংশ পতন ঘটে। প্রথম কয়েক মিনিটের বাণিজ্যে বিএসই সেন্সসেক্স ২,৫২২.০৫ পয়েন্ট নেমে ৩০,২৫৬.০৯-এ এসে দাঁড়ায়। আর এনএসই-র নিফটি বেঞ্চমার্ক ৯,১০৭.৬০ পয়েন্টে শুরু করে ৭৫৯.২৫ পয়েন্ট নেমে ৮,৮৩০.৯০-এ পৌঁছায়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে এতটা খারাপ অবস্থা দেখা যায়নি।

অন্যান্য এশিয় স্টক মার্কেটেও ধস নেমেছে। জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক ১০ শতাংশ পড়েছে। ২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটের পর এই প্রথম জাপানের শেয়ার বাজারের এই সূচক এতটা পড়ল। জাপানের বাইরে এশিয়া-প্যাসিফিকের শেয়ারের এমএসসিআই বিস্তৃত সূচক ২ শতাংশ পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই বাজারের হাল খুব খারাপ যাচ্ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপ থেকে আমেরিকায় ভ্রমণ নিষিদ্ধ করার পরই তা পালে বাতাস পেয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপীই অর্থনীতিতে আরও ধস নামাবে করোনাভাইরাস মহামারী। যাকে একদিন আগেই বিশ্বব্যপী মহামারী আখ্যা দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিশ্বের একটা বড় অংশে মানুষ এখন কাজকর্ম বন্ধ করে বাড়িতে বসে আছে। বিশ্লেষকদের দাবি, নীতি নির্ধারকরা প্রকৃতির রোষ থেকে বড় মাপের অর্থনীতিগুলিকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার, বাজার বন্ধের সময় বিএসই সেনসেক্স সূচক ২,৯৯৯.২৬ পয়েন্ট বা ৮.১৮ শতাংশ কমে ৯,৫৯০.১৫ এ ছিল। আর এনএসইয়ের নিফটি ৮৮৬৮.২৫ পয়েন্ট বা ৮.৩০ শতাংশ কমে ৯৫৯০.১৫-এ ছিল।