সংক্ষিপ্ত
ত্রিপুরায় বিজেপি নেতার মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন বিজেপি সরকারের ক্ষতি করা চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ত্রিপুরা বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তৃণমূল নেতাদের ওপর 'তালিবান স্টাইলে' হামলা চালাতে হবে। ত্রিপুরার ক্ষমতাসীন বিজেপি বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিকের এই মন্তব্য ঘিরে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব দলের বিধায়কের এই মন্তব্যকে স্বীকৃতি দেননি। তাঁরা বলেছেন এটি বিধায়কের ব্যক্তিগত মতামত। কিন্তু তারপেরও বিতর্ক থামছে না।
২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ত্রিপুরায় মাটি শক্ত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে অন্যতম শক্তি হয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চাইছে। এতদিন পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই দলের কাজকর্ম সীমাবদ্ধ ছিল। এবার রাজ্যের বাইরেও তৃণমূল ঘাসফুল ফোটাতে চাইছে। দলের প্রথম সারির নেতা মন্ত্রীরা প্রায়ই ত্রিপুরা সফর করছেন। তবে তৃণমূলের নেতা দের ত্রিপুরার বিজেপি নেতা কর্মীদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে পরে সম্প্রতি দোলা সেন আর অপরূপা পোদ্দারের ওপর হামলা চালান হয় বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। যা নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ ত্রিপুরায় আইনশৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পাল্টা বিজেপিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ। ত্রিপুরায় নৈরাজ্য তৈরি করার জন্য বিজেপি প্রথম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ি করেছে।
১ কোটি স্মার্ট ফোন থেকে মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি, ভোটের আগে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী
ত্রিপুরায় ২৫ বছরের দীর্ঘ কমিউনিস্ট শাসনের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন বিপ্লব দেব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জন্য ত্রিপুরায় অশান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারা। বুধবার বোলোনিয়া জেলায় বিজেপির নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের এক সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে অরুণ ভৌমিক দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'আমি আপনাদের সকলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যে আমাদের তালিবানি কায়দায় তাদের ওপর আক্রমণ করার দরকার। আমাদের বিমানবন্দরে নামার পর তাদের আক্রমণ করা উচিৎ। বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বাধীন সরকারকে আমাদের প্রতিটি রক্তবিন্দু দিয়ে রক্ষা করতে হবে।'
UNSC: আফগানিস্তানের পরিবর্তন বড় চ্যালেঞ্জ, তালিবান ইস্যুতে নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা জয়শঙ্করের
অরুণ কুমার ভৌমিকের এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায়ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক। তিনি বলেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতারা আগরতলার একটি বেসরকারি হোটেলে হয়রানির শিকার হন। ওই হোটেলে তাঁর গতরাতে ছিলেন। বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের পরেই তাঁদের হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন।
Post Poll Violence: 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ', কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলল বিজেপি
ত্রিপুরায় বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন এটি অরুণ ভৌমিকের ব্যক্তিগত মন্তব্য। এই মন্তব্যের কোনও দায় বিজেপির নেই। এটা বিজেপি সংস্কৃতিও নয়। অন্যদিকে নিজের মন্তব্য অনড় অরুণ ভৌমিক। তিনি বলেন তৃণমূলকে গুরুত্বসহকারে মোকাবিলার করার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই জন্য তালিবানি শব্দের ব্যহার করেছেন। তিনি আরও বলেন ত্রিপুরায় তৃণমূল বিজেপি সরকারের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। তা বরদাস্ত করা হবে না। তালিবানি শব্দটির ব্যবহারে ভুল বার্তা চলে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর উদ্দেশ্য ছিল তৃণমূল কংগ্রসকে কড়াভাবে মোকাবিলা করা।