সংক্ষিপ্ত

ত্রিপুরা বিধানসভা জয় নিয়ে আশাবাদী বিজেপি-কংগ্রেস - বামেরা। তিন রাজনৈতিক দলই এক্সিট পোল মানতে নারাজ।

 

 

একাধিক সংবাদ মাধ্যমের এক্সিটপোলে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। কারও দাবি একক সংখ্যাগরিষ্ঠাতা পাবে। কেউ আবার দাবি করেছে জোট সরকার হবে। কিন্তু মঙ্গলবার ত্রিপুরার বাম-কংগ্রেস জোট আর বিজেপি এক্সিট পোলের ফলফলকে উড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপির দাবি এক্সিটপোলে যা দেখান হয়েছে তার থেকেও অনেক বেশি আসন পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ক্ষমকতায় ফিরবে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস জোট এখনও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাওয়ার দাবি করে যাচ্ছে।

বিজেপি রাজ্যসভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেছেন বুথ ফেরত সমীক্ষা বা পূর্বাভাসে যা বলা হয়েছে তার থেকেও দলের ফলাফল অনেক ভাল হবে। তিনি আরও বলেছেন ত্রিপুরার জনগণ তাদের ওপর আস্থা রেখেছে। তাই ফলাফল অনেক ভাল হবে। ২০১৮ সালে বিজেপি রাজ্যে এসেছিল জনগণের উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার রাজ্যের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছে তাই ফলাফল আরও ভাল হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক ও আদিবাসী নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন বিজেপি ২০১৮ সালে ৩৬টি আসনে জিতেছিল। এবার তাদের আসন এক্সিট পোলে ৪০এর বেশি দেখান হয়েছে। কিন্তু এই রাজ্যে এবার বিজেপির কোনও ঢেউ নেই।। তাই এক্সিটপোলের ভবিষ্যৎবাণী রীতিমত হাস্যকর বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট আরামদায়েক পরিস্থিতিতে রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন ২ মার্চ ভোট গণনা তার আগে বিজেপি নেতাদের মনবল বাড়ানোর জন্যই এক্সিট পোল করা হয়েছে।

সিপিআই(এম) নেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী আরও বলেন,টিপরা মোথা বেশ কিছু আসন পাবে। তবে ভোট গঠনের পর সরকার গঠনের জন্য ফ্যাক্টর হবে না। তবে বাম - কংগ্রেস জোট যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তাহলে টিপরা মোথা যদি তাদের সঙ্গে যোগ দিতে চায় তাদের স্বাগত জানান হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সুদীপ রায় বর্মনও এক্সিট পোল মানতে নারাজ। তিনি বলেন, বিরোধীরা ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। পাশাপাশি তিনি জনগণকে শান্ত থাকার অহ্বান জানান। বাম ও কংগ্রেস জোটের জয়ের জন্য অপেক্ষাও করতে বলেন।

ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন বাম কংগ্রেস জোটের পাশাপাশি বিজেপির কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই রাজ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া বিজেপি। বামেরা ত্রিপুরা আরও একবার দখল করে বিজেপিকে যুদ্ধে হারাতে চায়। অন্যদিকে কংগ্রেস ত্রিপুরায় নিজেদের অস্ত্বিত্ত্ব বজায় রাখার লড়াইতে নেমেছে।