সংক্ষিপ্ত

  • বিহারে এক ট্রাক পেঁয়াজ লুঠ
  • ৫ টন পেঁয়াজ লুঠ করে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা
  • লুঠের পর খালি ট্রাক ফিরিয়ে দেওয়া হল চালককে
  • ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ


সোনা বা টাকা বোঝাই করা গাড়়ি লুঠের কথা তো শোনা যায়, এবার বিহারে লুঠ হয়ে গেল পেঁয়াজ বোঝাই আস্ত একটি ট্রাক। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, ছ' জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী বৃহস্পতিবার রাতে বিহারের মোহানিয়া পুলিশ স্টেশন এলাকায় পাঁচ টন পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকটি লুঠ করে। ট্রাকটিতে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার পেঁয়াজ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, কাইমুর জেলায় ওল্ড গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড-এর উপরে ওই ট্রাকটি লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। প্রথমে একটি গাড়ি করে ট্রাকটিকে ধাওয়া করে ছয় দুষ্কৃতী। এর পরে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ জি টি রোডের উপরেই ট্রাকটির পথ আটকায় তারা। অভিযোগ, ট্রাক চালক দেশ রাজকে বন্দুক দেখিয়ে ট্রাকটি নিয়ে অন্যত্র চলে যায় তারা। 

পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকটিতে মোট ১০২ বস্তা পেঁয়াজ ছিল। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি করে পেঁয়াজ থাকে। খুচরো বাজারে এখনও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে একশো থেকে একশো কুড়ি টাকা দরে। 

ট্রাকটি লুঠ করার পর প্রথমে সেটির চালককেও নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ট্রাক চালককে নিজেদের সঙ্গে থাকা গাড়়িতে তুলে নিয়ে চার ঘণ্টা ধরে ঘোরায় তারা। ততক্ষণে ট্রাকটিকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে পেঁয়াজের বস্তা নামিয়ে নেওয়া হয়। ট্রাক চালককে জানিয়ে দেওয়া হয়, কুদ্রা থানা এলাকার পুষাওলি এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে খালি ট্রাকটি রেখে দেওয়া হবে। 

চার ঘণ্টা পরে ট্রাক চালককে একটি নির্জন জায়গায় নামিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এর পর প্রায় এক কিলোমিটার হাঁটার পর অন্য একটি ট্রাকে করে ওই পেট্রোল পাম্পের কাছে গিয়ে নিজের ট্রাকটি ফিরে পান চালক দেশ রাজ। সেখান থেকেই মহম্মদ মিনহাজ রইস নামে জেহানাবাদের যে ব্যবসায়ী পেঁয়াজের বরাত দিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন করেন ওই ট্রাক চালক। এলাহাবাদ থেকে পেঁয়াজ নিয়ে জেহানাবাদে আসছিল ট্রাকটি। ঘটনার পরই মোহানিয়া পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ট্রাক চালকের অভিযোগ, বন্দি করে রাখার সময় তাঁকে মারধরও করেছে দুষ্কৃতীরা। অভিযু

ক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছ, গত ৬ ডিসেম্বরও একইভাবে কুদ্রা পুলিশ স্টেশন এলাকায় ৬৪ বস্তা রসুন বোঝাই একটি মিনি ট্রাক লুঠ করা হয়েছিল। পেঁয়াজ, রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়াতেই দুষ্কৃতীরা এই ধরনের ট্রাকগুলিকে টার্গেট করছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে কাইমপুর জেলাতেই দু'টি একই ধরনের ঘটনা ঘটায় তা স্পষ্ট।