সংক্ষিপ্ত
ভারত থেকে কি চলে যাবে টুইটার
ক্রমে পরিস্থিতি সেই দিকে এগোচ্ছে
কেন্দ্রের সঙ্গে সোশ্য়াল মিডিয়া সংস্থার দ্বন্দ্বে বড় মোড়
কড়া ভাষায় বার্তা দিল তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক
বৃহস্পতিবার, টুইটার ইনকর্পোরেশনের কড়া সমালোচনা করল কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে তাদের ভারতীয় কর্মচারীদের সম্পর্কে এবং সুশীল সমাজের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল সংস্থাটি। টুইটারের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, কেন্দ্রের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি বিধিগুলির মূল উপাদানগুলি প্রয়োগের জন্য পুলিশকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে কর্তৃক ভয় দেখানোর কৌশল নিয়েছে ভারত সরকার, তাই নিয়ে অনেক সংস্থা এবং সুশীল সমাজের বহু মানুষ উদ্বীগ্ন।
টুইটারের ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্য মন্ত্রক এদিন এক বিবৃতি জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ভারতে বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের শতাব্দীপ্রাচীন গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে। স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করাটা শুধুমাত্র টুইটারের মতো একটি বেসরকারি, শুধুমাত্র লাভের অঙ্ক কষা, বিদেশী সংস্থার অহংকার নয়, এটা বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র এবং এর শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি। টুইটারের বক্তব্য, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রতি শর্তাদি আরোপের চেষ্টা। এই ধরণের কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের মাধ্যমে টুইটার ভারতের আইনী ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে চাইছে। এছাড়া, ভারতের নতুন আইটি বিধি মানতে অস্বীকার করছে। এইভাবে তারা ভারতে হওয়া কোনও অপরাধমূলক ঘটনা থেকে দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে।
আইটি মন্ত্রক প্রশ্ন তুলেছে, টুইটার যদি ভারতীয় জনগণের প্রতি এতটাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়, তবে সংস্থাটি নিজেরাই ভারতে কেন এমন কোনও ব্যবস্থা তৈরি করেনি, যাতে করে মর্ফড ছবি, যৌন নির্যাতন, শিশু নির্যাতনের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীকে চিহ্নিত করা যায়? টুইটারের ভারতীয় প্রতিনিধিরা যখন দাবি করেন যে এই বিষয়ে তাদের কোনও কর্তৃত্ব নেই, ভারতের জনগণকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংস্থার সদর দফতরে অভিযোগ জানাতে হবে, তখন টুইটারের ভারতীয় ইউজারদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কথা ফাঁকা বলে মনে হয়। শুধু তাই নয় বোঝাই যায়, তারা কতটা স্বার্থপর।
টুইটার সংস্থার ভারতে একটা বিশাল ইউজার বেস রয়েছে। ফলে, ভারত থেকে তারা কোটি কোটি টাকা আয় করে। কিন্তু, তাও একজন ভারতীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি অফিসার, অভিযোগ নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার এবং অভিযোগ গ্রহণ করার জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে চায় না সংস্থাটি। এই অবস্থায় মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ভারতে ব্যবসা করতে গেলে তাদের এই দেশের আইন মানতেই হবে। সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে ভারতের আইনী নীতি কী হবে তা টুইটার ঠিক করে দেবে না।