সংক্ষিপ্ত
প্রথমবার পুলিশের খাতায় টুইটারের নাম
তবে সাময়িক স্বস্তি পেলেন টুইটার ইন্ডিয়া-র প্রধান
তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
কী বলল কর্ণাটক হাইকোর্ট
বৃহস্পতিবার, কর্ণাটক হাইকোর্টে সাময়িক স্বস্তি পেলেন টুইটার ইন্ডিয়া-র প্রধান মনিষ মহেশ্বরী। এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, মামলার রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গাজিয়াবাদের এক মুসলিম বৃদ্ধের দাড়ি কেটে নেওয়ার ঘটনার তদন্তে প্রথমে সাক্ষী, পরে একেবারে অভযুক্ত হিসাবে টুইটার ইন্ডিয়া-র প্রধানকে সমন পাঠিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
এদিন, আদালতে হাজির হয়ে মনিষ মহেশ্বরী বলেন, ওই অভিযোগের বিষয়ে সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক না নেই। কয়েকজন ব্যক্তি একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। কিন্তু, এফআইআর-এ তাঁদের সঙ্গে মহেশ্বরীর নামও দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, প্রথমে ১৭ জুন তাঁকে সাক্ষী হিসাবে সমন পাঠানো হয়েছিল, দুদিন পরই আরও একটি সমন আসে, যেখানে তাঁকে অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করে গাজিয়াবাদে হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়।
ইমেলে পাঠানো পুলিশের নোটিশটির জবাবে টুইটার ইন্ডিয়ার প্রধান বলেছিলেন, তিনি অনলাইনে হাজিরা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তাঁর প্রস্তাব মানেনি। তাঁকে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে সাত দিনের মধ্যে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পকিবার সকালেও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছিল, সকাল সাড়ে দশটার মধ্যে মহেশ্বরী লোনি থানায় আসবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, ২৩ জুনই কর্ণাটক হাইকোর্টে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করাছিলেন মহেশ্বরী।
গত সপ্তাহে আবদুল সামাদ নামে গাজিয়াবাদদের এক মুসলিম বৃদ্ধ অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে মারধর করে 'জয় শ্রীরাম' এবং 'বন্দে মাতরম' বলতে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছিল। সেখানে সাম্প্রদায়িক হামলার দাবি তোলা হলেও, পুলিশ তদন্ত করে জানায়, ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ চড়ানো হচ্ছে। এই অপরাধের জন্যই কয়েকজন সাংবাদিক, কংগ্রেস নেতার সঙ্গে সঙ্গে টুইটার প্রধানের নামেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
টুইটার ইন্ডিয়াকে নির্দিষ্ট কিছু পোস্ট মুছতে নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। সংস্থাটি ৫০টি মতো টুইট বাতিল করলেও, বাকিগুলি রেখে দিয়েছিল। এরপরই মহেশ্বরীকে তলব করে নোটিশ পাঠিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কেন্দ্রের নতুন আইটি বিধি কার্যকর হওয়ার পর, এই প্রথম কোনও সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে সেই আইন মোতাবেক মামলা করা হয়েছে।