সংক্ষিপ্ত

  • ফের হানা দিয়ে দেহব্যবসার পর্দাফাঁস করল পুলিশ
  • মোট ১৬ মহিলা উদ্ধার, যার মধ্যে ১১ বাংলাদেশের নাগরিক
  • কাজের প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে দেহব্যবসার কাজে নামানোর অভিযোগ
  • মুম্বইয়ে ডি বি মার্গ পুলিশ স্টেশনে দায়ের করা হয়েছে মামলা৷   
     

মুম্বই: ফের বড়সড় দেহব্যবসার পর্দাফাঁস করল মুম্বই পুলিশ৷ অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার ফোনে পুলিশের কাছে এই দেহব্যবসার খবর এলে, তার ভিত্তিতে হানা দেয় মুম্বই পুলিশ৷ উদ্ধার হয় ১৬ মহিলা৷ 

জানা গিয়েছে, বুধবার মুম্বই পুলিশের সোশ্যাল সার্ভিস ব্রাঞ্চে এক মহিলা ফোন করে জানান, তাঁকে জোর করে দেহব্যবসার কাজে নামানো হয়েছে এবং তার ওপর অকথ্য অত্যাচারও চলছে৷ এরপর ওই অভিযোগকারিণীর সঙ্গে দেখা করে সোশ্যাল সার্ভিস ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা৷ 

আরও পড়ুন- ৬ বছরে সর্বনিম্ন, আর্থিক বৃদ্ধির হার নামল ৫ শতাংশে

সংবাদ সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশি ওই মহিলা আর্থিক অনটনের কারণে পরিবারকে সাহায্য করতেই মুম্বই আসেন৷ এক পরিচিত ব্যক্তি তাকে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মুম্বই নিয়ে আসে৷ রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে তাকে নবি মুম্বইয়ে নিয়ে এসে বিক্রি করে দেয় ওই ব্যক্তি৷ এরপরই তাকে দেহব্যবসার কাজে জোর করে নামানো হয় এবং চলে নির্যাতনের পালা, এমনই অভিযোগ বাংলাদেশি মহিলার৷ 

এরপর এক গ্রাহকের থেকেই নির্যাতিতা মুম্বই পুলিশের সোশ্যাল সার্ভিস ব্রাঞ্চের ফোন নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করে৷ তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ হানা দেয় গ্র্যান্ট রোডের একটি বাড়িতে এবং দেহব্যবসার পর্দাফাঁস করে এবং সেই সঙ্গে ডিবি মার্গ পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা দায়ের হয়৷  

অভিযান চালিয়ে ১৬ মহিলাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে ১১ বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গিয়েছে৷