সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বাংলা-সহ পাঁচটি ভাষাকে শাস্ত্রীয় ভাষার মর্যাদা প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে।
বাঙালিদের জন্য সুখবর। ভারতের ভাষাগত ঐতিহ্যের প্রচার ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বাংলা-সহ পাঁচটি ভাষাকে শাস্ত্রীয় ভাষার মর্যাদা প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। বাংলা ছাড়াও আরও যেসব ভাষা রয়েছে সেগুলি হল- মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমীয়া। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, শাস্ত্রীয় ভাষা সংরক্ষ ও প্রচারের জন্য এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আগে তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম ও ওড়িয়া ভআষাকে ধ্রপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এই পাঁচটি ভাষার সংযোজন ভারতের ভাষাগত ঐতিহ্যের সমৃদ্ধি বৈচিত্র্যকে স্বীকৃতি দিতে ও উদযাপন করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টার ওপর জোর দেয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'এখন পর্যন্ত, আমাদের কাছে তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালম এবং ওড়িয়াকে প্রজ্ঞাপিত ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে ছিল। সরকার ধ্রুপদী ভাষাগুলির সংরক্ষণ ও প্রচার এবং এই ভাষাগুলির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিচ্ছে৷' তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপটি শুধুমাত্র এই ভাষাগুলির ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সম্মান করে ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে গভীর উপলব্ধি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। শাস্ত্রীয় ভাষার মর্যাদা এই ভাষাগুলিকে গবেষণা, সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অতিরিক্ত স্বীকৃতি এবং সহায়তা প্রদান করবে। মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অসমীয়া এবং বাংলার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সাহিত্য ও ইতিহাসের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভারতের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে সমুন্নত রাখতে এবং দেশের ঐতিহ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখা ভাষাগুলির প্রচারের জন্য সরকারের একটি বৃহত্তর উদ্যোগকে প্রতিফলিত করে। এই ভাষাগুলির স্বীকৃতিকে তারা প্রতিনিধিত্ব করে এমন অনন্য পরিচয় এবং ঐতিহাসিক বর্ণনা সংরক্ষণের একটি পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হয়।