সংক্ষিপ্ত
এদিনই একাধিক ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায় মমতাকে। এদিনই একাধিক ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায় মমতাকে।
সাংগঠনিক রদবদলের ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল, মিলেছিল মন্ত্রিসভায় রদবদলেও ইঙ্গিতও। গতকাল মন্ত্রিসভার রদবদলের পর এদিন সাংগঠনিক স্তরেও একাধির বড় বদল ঘটিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে নজরুল মঞ্চে উপস্থিত হতে দেখা যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিনই একাধিক ইস্যুতে বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায় মমতাকে। এদিন নজরুল মঞ্চ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বিভিন্ন বিরোধীদের মাইক নিয়ে বিক্ষোভ করার নিন্দা করতে দেখা যায় দলনেত্রী। পাশাপাশি এদিন সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় মমতাকে।
এদিন নজরুল মঞ্চ থেকে মমতাকে বলতে শোনা যায়, “মিথ্যাকে চিরদিন ঢাকা যায় না। সত্যকে থামাতে হয়না। মিথ্যেকে থামাতে হয়। এটুকু মাথায় রাখবেন। যারা বড় বড় কথা বলে একই নিউজ বারবারবার দেখাচ্ছেন তাদের কয়েক জনের যা রেকর্ড বাপরে বাপরে। সেই রেকর্ডগুলি যদি পাবলিকের সামনে বের করি না ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়ে যাবে। কার কোথায় ইন্টারেস্ট কোথায় তা আমাদের থেকে ভালো তো কেউ জানে না। কিন্তু আমরা তো চাই ভালো করে কাজ করুন। আপনরা আপনাদের কাজ করুন, আমরা আমাদের কাজ করব। এখানে তো এত মিডিয়া আছে কারও কিছু সমস্যা হয়েছে ? হয়নি। আমরা চেষ্টা করি ভালো থাকার, সবাইকে ভালো রাখার। একবার ভাবুন তো সবকিছুর সীমারেখা কোথায়?”
আরও পড়ুন- শান্তির বার্তা দিতে বাংলার বুকে করা হল মহাযজ্ঞের আয়োজন
আরও পড়ুন-খুশিতে ৩৬ হাজার রসগোল্লা বিতরণ তৃণমূল কাউন্সিলরের
আরও পড়ুন- যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা বাড়ি ফিরল ৩ পড়ুয়া, খুশির হাওয়া পরিবারে
এখানেই না থেমে সংবাদমাধ্যমর বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে মমতা বলেন, “একবার বাবুন তো আপনি বিহারে আছেন, সেখানে সীমারেখা কতট আপনার? একবার ভাবুন তো সিপিএম অধ্যুষিত স্টেট কেরলে আছেন সেখানে সীমারেখা কতট আপনার ? ভাবুন তো একবার ত্রিপুরায় আছেন , অসমে আছেন, কোথাও এই বাকস্বাধীনতা পাবেন না, কোথাও এই শান্তি পাবেন না, কোথা এই সম্প্রীতি পাবেন না। আমরা হিন্দু-মুসলিম-শিখ-ইসাই আমরা সবাই ভাই। আমরা সবাই একসাথে চলি। আমরা একসাথে ওঠাবসা করি। এটাই বাংলার গুণ। এটাই মাটির গুণ। তাই বাংলা যা পারে তা অন্য কেউ পারে না। তাই বাংলা থেকে জাতীয় সঙ্গীত তৈরি হয়। জনগনমনঅধিকনায়কও করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ আবার সোনার বাংলাও করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।”
আরও পড়ুন- ‘দ্য ওয়ারিয়ার ডেমোক্র্যাট শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়’, ধনখড়ের হাতে প্রকাশ পাচ্ছে নতুন বই