সংক্ষিপ্ত

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড
যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত 
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বহু এলাকায় 
নদীর জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে 

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। বর্ষার শুরুতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত উত্তর ভারতের ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যটি। ধস আর হড়পাবানের কারণে  যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় থকমে গেছে। চামোলির গুলাবকোটি ও কৌদিয়া এলাকায় ভূমিধসের কারণে শুক্রবার বদ্রীনাথ জাতীয় মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়েছে গেছে। শনিবার তেহরি-গাড়ওয়ালের কাছে হৃষিকেশ-শ্রীনগর জাতীয়  

 

উতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, বাগেশ্বর আর পিথোরাগড়েও প্রবল বৃষ্টির কারণে জল বাড়তে শুরু করেছে নদীগুলিতে। একাধিক নদীতে জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। ইতিমধ্যেই বিপদসংকূল এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। উত্তরাখণ্ডের পিথরাগড়ে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা। সংগ্লন এলাকায় অধিকাংশ গ্রামেই নেমে এসেছে অন্ধকার। টানা ভারী বৃষ্টির কারণে রাজ্যের নিম্ম এলাকাগুলিতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। রুদ্রপ্রয়াগের সমস্ত ঘাট আর বিখ্যাত শিবমন্দির আর মূর্তি চলে গেছে নদীর জলের তলায়। একই ছবি হৃষিকেশে। পারমার্থ নিকেশের শিব মূর্তির গা ঘেঁসে বইছে জল। বিপদসীমার ওপরে রয়েছে বিখ্যাত ত্রিবেনী ঘাটও। হৃষিকেশ সংলগ্ন অনকানন্দা নদীরও জল বইছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। 

প্রবল বৃষ্টির কারণে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছ ধৌলীগঙ্গায়।সতর্কতা জারি করা হয়েছে হরিদ্বারেও। সেখানেই গঙ্গার জল বইছে লাল সতর্কতা সীমার ওপরে। আগামী কয়েক দিন উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী দুদিনের জন্য জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। 


প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেই বেশ কয়েকটি এলাকা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাস্তা মেরামতির কাজ। কোথাও আবার প্রবল বৃ্ষ্টি মাথায় নিয়ে কাজ করছে প্রশাসন। খুলে দেওয়া হচ্ছে লকগেট। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সবরকম পদক্ষেপই গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন।