সংক্ষিপ্ত

ভিএইচপি-র পক্ষ থেকে বনসাল বলেছেন প্রথম পর্যায়ে সংগঠমটি উত্তর মধ্য, পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেছেন। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে বাজেট অধিবেশনের সময়। 

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ  (VHP) একটি গুরুত্বপূর্ণ  মিশনে রয়েছে। সেই মিশনের আওতায় দেশের সমস্ত সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের ৩২৭ জন সাংসদের (MPs) সঙ্গে দেখা করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা। আগামী দিনে বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বা ভিএইচপি-র মুখপাত্র বিনোদ বনসাল। ডানপন্থী এই সংগঠনটি  জোরকরে ধর্মান্তকরণের (forced religious conversion) মত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্যই রাজনৈতিক স্পেকট্রাম জুড়ে আলোচনা করার জন্য সাংসদদের সঙ্গে দেখা করছে। 

ভিএইচপি-র পক্ষ থেকে বনসাল বলেছেন প্রথম পর্যায়ে সংগঠমটি উত্তর মধ্য, পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেছেন। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে বাজেট অধিবেশনের সময়। সেই সময়ই সংগঠনের পক্ষ থেকে ওড়িশা ও দক্ষিণ ভারতের সাংসদদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করবে। 

এখনও পর্যন্ত বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ভারতীয় জনতা পার্টি, কংগ্রেস, জনতা দল ইউনাইটেড, শিবসেনা, ন্যাশানাল কনফারেন্স, তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম, আম আদমি পার্টির নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩২৭ জন সাংসদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভিএইচপি জানিয়েছে খ্রিস্টান ও মুসলিম সাংসদদের সঙ্গেও তারা আলোচনা করেছে। 

ধর্মীয় ধর্মান্তকরণের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ভিএইচপি-র জাতীয় মুখপাত্র বলেছেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্যসরকারগুলির প্রলুব্ধ করা, ভয় দেখানো বা প্রচারণার মাধ্যমে যাতে কোনও ধর্মীয়  ধর্মান্তকরণ না হয় তার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করা উচিৎ। কারণ এটি সংবাদ প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। এটি ব্যক্তি স্বাধীনতার বিরুদ্ধও কার্যকর। তিনি আরও বলেছেন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষদের বিশ্বাস ত্যাগ করে ও অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয় তাদের সংবিধান প্রদত্ত তফশিলি জাতি ও উপজাতী সংরক্ষণের সুবিধে ভোগ করা ঠিক নয়। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন,  সংসদদের সঙ্গে তাদের আলোচনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জনমতকে একত্রিত করার চেষ্টা করার কথাও বলা হয়েছিল। 

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতাদাবি করেছেন যে সংসদের সঙ্গে আলোচনার সময় ঐত্যমত ও অভিন্নতাই তাঁরা দেখতে পেয়েছেন। বনসাল জানিয়েছে করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার আগে তাদের প্রচারের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ করা হয়েছিল। যেগুলি পরবর্তীকালে গৃহীত হয়েছিল ও কাজ শুরু হয়েছিল। তা হল -
একটি পৃথক পশুপালন মন্ত্রণালয় স্থাপন করা যা আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অংশ বা বিভাগ হিসেবে কাজ করেছিল। সেই কারণে এই দফতর যথাথত গুরুত্ব পায়নি। 
গবাদি পশুর সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য একটি কমিশন গঠন করা।  কেন্দ্র কামধনু আয়োগ গঠন করেছে। প্রাথমিক বাজেট ৭৫০ কোটি টাকা। 
রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে গ্রহণ  না করা, কারণ তারা তাদের দেসে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।