সংক্ষিপ্ত

 ওমিক্রন তৃতীয় তরঙ্গে একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাড়াবে। তবে দেশে অনাক্রম্যতা বৃদ্ধির কারণে এটি দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়ে অনেকটাই কম প্রভাব ফেলবে। 

কোভিড-১৯ (COVID -19) এর তৃতীয় তরঙ্গ (Third Wave) আগামী বছর শুরুতে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় কোভিড সুপার মডেল কমিটি সদস্যরা মনে করছেন এটি দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় অনেকটাই হালকা হবে। তবে তৃতীয় তরঙ্গে যে ভারতে আছড়ে পড়তে পারে সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। ন্যাশানাল কোভিড ১৯ সুপার মডেল কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন ওমিক্রন (Omicron) যদি ডেল্টার থেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করে তাহলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫০০এর মত হতে পারে। 

এই কমিটির প্রধান বিদ্যাসাগর বলেছেন, ওমিক্রন তৃতীয় তরঙ্গে একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাড়াবে। তবে দেশে অনাক্রম্যতা বৃদ্ধির কারণে এটি দ্বিতীয় তরঙ্গের চেয়ে অনেকটাই কম প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেছেন যে তৃতীয় তরঙ্গ যদি এই দেশে আছড়ে পড়ে তবে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতিতে ভারতে প্রতিদিন আক্রান্তের গড় ২ লক্ষেরও গণ্ডি ছাড়াবে না। এখন থেকেই ধীরে ধীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলেও তিনি সাবধান করেছেন দেশের মানুষকে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশের প্রতিটি মানুষকে তিনি টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

কোভিড প্যানেলের প্রধান সদস্য আরও বলেছেন, 'আমি জোর দিয়ে বলছি এগুলি সমস্তই অনুমান। কোনও ভবিষ্যৎবানী নয়। ভারতের নাগরিকদের মধ্যে এই ভাইরাসটি কীভাবে আচরণ করছে তা জানতে পারলেই আমরা ভবিষ্যৎবানী করা শুরু করতে পারি।' তিনি আরও বলেন অনুমানের ওপর ভিত্তি করেই সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে তৈরি করে রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন টিকাকরণ ও প্রাকৃতিকভাবে প্ররোচিত অনাক্রমত্যার জন্য আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। 

অন্যদিকে শুকবার কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের তীব্র বৃদ্ধির মধ্যে লোকেদের নতুন বছর উদযাপনের ভিড় এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলারও কথা বলেছে। 

ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সামাদিক ব্যবস্থা আরও কঠোর করার পরামর্শ দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের থেকে ওমিক্রম অনেক বেশি দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। গত কয়েক মাসে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ওমিক্রনকেই দায়ি করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দক্ষিণ আফ্রিকাতে ডেল্টার পাশাপাশি ওমিক্রন নতুন করে বিপদ ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্ত্য সংস্থা। তবে ওমিক্রন সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত তথ্য নেই। এটির চরিত্র বোঝার জন্য আরও বেশি পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। 
Revenge of Monkeys: বানরের প্রতিশোধে আতঙ্কিত গ্রাম, একে একে হত্যা ২৫০ কুকুর ছানা

Rohini Court Blast: দিল্লির আদালতে বিস্ফোরণ, হাতকড়া পড়ল প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীর হাতে
'হিন্দুত্ববাদীদের জন্য কষ্ট পাচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ', আমেঠি থেকে বিজেপিকে নিশানা রাহুল গান্ধীর