সংক্ষিপ্ত

সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে "ভোট গণনার পরে সহসনিয়াং গ্রামে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। আশংকা করা হচ্ছে যে এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

মেঘালয়ে গণনা-পরবর্তী হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে, পশ্চিম জয়ন্তিয়া হিলস জেলা প্রশাসন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাহাসনিয়াং গ্রামে কারফিউ জারি করেছে। একটি সরকারী বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরে কিছু এলাকা থেকে হিংসার নানা ঘটনার খবর রিপোর্ট করা হয়। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

হিংসা ঠেকাতে কারফিউ জারি

সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে "ভোট গণনার পরে সহসনিয়াং গ্রামে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। আশংকা করা হচ্ছে যে এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি পরিস্থিতি এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তবে তা তীব্র হতে পারে,"। সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে "এই এলাকায় অবিলম্বে হিংসা বন্ধ করতে এবং এলাকায় জনশান্তি ফিরিয়ে আনতে কারফিউ ঘোষণা করা যেতে পারে।"

এদিকে, ১৯৮৩ সাল থেকে চলে আসা ধারা অব্যাহত রেখে এ বারও ত্রিশঙ্কু মেঘালয়ের বিধানসভা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। মেঘালয়ে সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে শাসক দল এনপিপি। তবে তারা পেয়েছে মোট ২৫টি আসন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইউডিপি। তৃণমূল প্রথমবার ভোটে লড়ে পেয়েছে ৫টি আসন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ২৬টি আসন জিতে একক বৃহত্তম দল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যেখানে বিজেপি মাত্র দুটি আসন জিতেছে।

কংগ্রেস ও তৃণমূল পেয়েছে পাঁচটি করে আসন

ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টি (ইউডিপি) ১১টি আসন জিতেছে, যেখানে কংগ্রেস এবং তৃণমূল প্রত্যেকে পাঁচটি আসন পেয়েছে। ভয়েস অফ দ্য পিপল পার্টি চারটি, পার্বত্য রাজ্য পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট দুটি করে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীও জয়ী হয়েছেন।

২০১৮ সালে NPP ১৯টি আসন জিতেছিল

এবার এনপিপির আসন বেড়েছে। গতবার মাত্র ১৯টি আসন পেয়েছিল। এখন সরকার গঠনে অন্য কোনো দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। গতবার বিজেপি সহ একাধিক দলকে নিয়ে সরকার গঠন করে মুখ্যমন্ত্রী হন কনরাড সাংমা। এবার আলাদাভাবে নির্বাচনে লড়েছে বিজেপি। তবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন যে সাংমা সরকার গঠনের জন্য বিজেপির সমর্থন চেয়েছেন।

গত বার কংগ্রেস পেয়েছিল ২১টি আসন। এনপিপি ২০। বিজেপি ২টি। ২০১৮ সালের সেই বিধানসভা নির্বাচনে অবশ্য তৃণমূল মেঘালয়ে মাত্র ৮টি আসনে লড়েছিল। ভোট পেয়েছিল সাকুল্যে ০.৩৫ শতাংশ। ২০২১ সালে মেঘালয় বিধানসভায় আচমকাই মুকুল সাংমার নেতৃত্বে বিরোধী নেতারা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর মেঘালয় বিধানসভায় ‘সাজানো-গোছানো’ প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা হাতে পেয়েছিল তৃণমূল। তার পরে ২০২৩-এই তৃণমূল প্রথম মেঘালয়ে বিধানসভা ভোটে অধিকাংশ আসনে (৫৬টি) প্রার্থী দেয়।