সংক্ষিপ্ত

বিহারের পর এবার জম্মু-কাশ্মীরে হান্দওয়ারায় দেখা গেল আরও এক স্কুল পড়ুয়াকে। যে কিনা বিহার কন্যার মতোই একপায়ে হেঁটে ২ কিমি পাড়ি দিয়ে স্কুল যায় প্রতিদিন। উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের মতো চড়াই উতরাইয়ের পথে ২ কিলোমিটার পথ এক পায়ে যাওয়া যে পরিমাণে কষ্টকর, ততোটাই ঝুঁকি সাপেক্ষ। এএনআই সংবাদ সংস্থার শেয়ার করা ভিডিটিতে জানা গিয়েছে, মিষ্টি ওই পড়ুয়ার নাম পারভেজ।

বিহারের পর এবার জম্মু-কাশ্মীরে হান্দওয়ারায় দেখা গেল আরও এক স্কুল পড়ুয়াকে। যে কিনা বিহার কন্যার মতোই একপায়ে হেঁটে ২ কিমি পাড়ি দিয়ে স্কুল যায় প্রতিদিন। উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীরের মতো চড়াই উতরাইয়ের পথে ২ কিলোমিটার পথ এক পায়ে যাওয়া যে পরিমাণে কষ্টকর, ততোটাই ঝুঁকি সাপেক্ষ। এএনআই সংবাদ সংস্থার শেয়ার করা ভিডিটিতে জানা গিয়েছে, মিষ্টি ওই পড়ুয়ার নাম পারভেজ।

 

 

ইতিমধ্যেই মর্মস্পর্শী এই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে সারা ভারতে। ভাইরাল এই ভিডিও দেখে চোখ ভিজেছে অনেকেরই। প্রতিবন্দকতা যে শিক্ষার ক্ষেত্রে বাঁধা হতে পারে না, তা আবার প্রমাণ করে দিয়েছে ওই ক্ষুদে। নেটদুটিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি মন ছুয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলেব্রেটি, রাজনীতিবিদেরও। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, এক পায়ে হেঁটেই পারভেজ রোজ জম্মু-কাশ্মীরের মতো চড়াই উতরাইয়ের পথে ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুল যায়।তবে সেই ক্ষুদে পড়ুয়াও জানিয়েছেন, রাস্তাঘাট ভালো নয়। কৃত্রিম অঙ্গ পেলে হেঁটে যেতে পারব। আমার জীবনে কিছু অর্জন করার স্বপ্ন আছে বলে জানিয়েছে পারভেজ।একরত্তির এই অদম্য ইচ্ছাই মন জয় করেছে তামাম ভারতবাসীর।

অপরদিকে সম্প্রতি এক বিহার কন্যারও একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেও এক পা নিয়েই ১ কিমি হেঁটে রোজ স্কুল সফর বিহার কন্যার।জানা গিয়েছে, ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনায় এক পা বাদ যায় বছর দশের ওই বিহার কন্যার। তারপর থেকেই সে এক পা-কে সঙ্গী কে করেই  দীর্ঘ ১ কিলোমিটার হেঁটে স্কুল যায়। পিঠে ভারী ব্যাগ নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অতোটা পথ যাওয়া যে একরত্তির জন্য কতটা যন্ত্রনাদায়ক, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও শিক্ষার অমোঘ টানে যাবতীয় প্রতিবন্দকতাকে হার মানিয়ে প্রতিদিন স্কুল যায় জামুয়ের ওই শিক্ষার্থী। রোজ একাই এমনই যুদ্ধ করে স্কুল যেতে হয় তাঁকে। এদিকে পরিবার আর্থিক অনটনে ভুগছে। একরত্তি মেয়ে সীমার মা ইটভাটায় কাজ করে। যেখানে নুন আনতে পানতা ফুরোয়, সেখানে তাঁদের মেয়ের এই প্রতিবন্দকতার চিকিৎসা করার কথা ভাবতেও সাহস পায়নি একরত্তির পরিবার। যদিও ওই ক্ষুদের মা বেবি দেবী জানিয়েছেন, এক রত্তির জন্য স্কুল পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁধের ছোট মেয়ের বই কেনার মতো টাকাও নেই তাঁদের কাছে। তাই পড়াশোনার খরচ যোগায় সীমার স্কুল।