সংক্ষিপ্ত
- স্বামী বিবেকানন্দেই আস্থা বিপ্লব দেবের
- বিবেকানন্দের ছবি রাখতে পরামর্শ
- জ্যোতি বসুর ছবি রাখে অনেকেই
- তাহলে বিবেকানন্দের ছবি নয় কেন
রাজ্যের আশি শতাংশ মানুষ যদি বাড়িতে স্বামী বিবেকান্দের ছবি টাঙিয়ে রাখেন তাহলে আর কোনও চিন্তা নেই। আগামী ৩০ বছরের জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চলের এই রাজ্য ক্ষমতায় থেকে যাবে। এমনই ভবিষ্যৎবানী করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিল্পব দেব। বিজেপির মহিলা মোর্চার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও সামনে এসেছিল তাঁর বিবেকানন্দ প্রীতি। তিনি করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিবেকানন্দর লেখা বই দিয়েছিলেন। তাঁর ধৈর্য্য আর মানসিক শক্তি বাড়ানোর জন্য এই জাতীয় বই দেওয়া হয়েছিল বলে জানান হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে।
কথা প্রসঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী কমিউনিস্ট নেতাদের নাম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তিনি দেখেছেন তাঁর গ্রামের অনেক বাড়িতে এখনও মানুষ জ্যোতি বসু, জোসেফ স্টালিন, মাও সেতুংএর মত কমিউনিস্ট নেতাদের ছবি ঝুলিয়ে রেখেছেন। তাহলে স্বামীজির ছবি কেন ঝুলিয়ে রাখা হবে না কেন বলে তিনি প্রশ্নও তোলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন এটি মোটেও ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী নয়। তারপরই তিনি বলেন, যদি ত্রিপুরার ৮০ শতাংশ বাড়িতে স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তি বা ছবি রাখা যায় তাহলে বিজেপি ৩০-৩৫ বছর ক্ষমতায় থেকে যাবে।
স্বামীজি উক্তি টেনে এনেও তিনি বলেন, বিবেকানন্দ বলেছিলেন কম কথা বলে কাজ বেশি করতে। বেশি কথা বললে শক্তি নষ্ট হয়। তাই আমাদের শক্তি অপচয় করা উচিৎ নয়, বেশি করে কাজ করা প্রয়োজন বলেই জানিয়েছেন বিপ্লব দেব। এর পরেই তিনি রাজ্যের উন্নয়েনর প্রসঙ্গে টেনে আনেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন পরিকল্পনা গ্রহণ আর বাস্তবায়নের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। রাজীব গান্ধী গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তা পূর্ণ করেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। আর সেই গ্রামগুলিকে আরও বেশি স্বায়ত্ত্ব শাসন দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।