সংক্ষিপ্ত


একদিকে যখন জমে উঠেছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। ঠিক সেই সময়ই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তীব্র কটাক্ষ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের ধারে কাছে নেই রাহুল গান্ধী, তাই তাঁকে লক্ষ্য করেই হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, 'রাহুল গান্ধী রাজনীতির উপযুক্ত নন।'

একদিকে যখন জমে উঠেছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। ঠিক সেই সময়ই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তীব্র কটাক্ষ করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের ধারে কাছে নেই রাহুল গান্ধী, তাই তাঁকে লক্ষ্য করেই হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, 'রাহুল গান্ধী রাজনীতির উপযুক্ত নন।' এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেছেন রাহুল গান্ধীর পদ্ধতিগত কোনও গুরুত্ব নেই। 

হেমন্ত বিশ্বশর্মা প্রায় দুই দশক ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অসমের দায়িত্ব নেওয়া নিয়েই তাঁর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বিবাদ শুরু হয়। আর তারপরই তিনি দল বদল করে বিজেপিতে চলে আসেন। কিন্তু রাহুল গান্ধীর ওপর তাঁর আক্রোষ যে এখনও রয়েছে তা মাঝেমধ্যেই তাঁর কথায় স্পষ্ট হয়ে যায়। হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, 'রাহুল গান্ধী কোনও দায়িত্ব ছাড়াই ক্ষমতা ভোগ করতে চান। তিনি রাজনৈতিক পক্ষে সঠিক ব্যক্তি নন।' পাশাপাশি তিনি রাহুল গান্ধীকে রাজনীতিবীদ হিসেবে বিশেষ হালকাভাবে দেখেন বলেও জানিয়েছেন। রাহুল গান্ধী সামন্ত প্রভুদের মতই আচরণ করে বলে অভিযোগ তাঁর। এখানেই শেষ না করে হেমন্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেছেন, রাহুল গান্ধী রাজনীতির জন্য উপযুক্ত নন। যে কাজটি তাঁর করার কথা নয় সেই কাজটি তিনি করছেন বলেও দাবি করেছেন। 

রাহুল গান্ধী বর্তমান ভারত জোড়ো যাত্রায় ব্যস্ত রয়েছে। আর এই সময়ই হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, রাহুল গান্ধী মাঝে মাঝে একটি সভা ছেড়ে চলে যেতে পারেন. জগিং করতে পারেন। হঠাৎ করে পাশের ঘরে চলে যেতে পারেন, আবার আঘ ঘণ্টা পরে ফিরেও আসতে পারেন। তাঁর কোনও কাজেরই পদ্ধতিগত কোনও গুরুত্ব নেই। 

হেমন্ত বিশ্বশর্মা আরও বলেন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের কংগ্রেসের ভরাডুবির কারণ নৈতিকতার দায় নিয়ে দলের সভাপতির পদ ছেড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তারপর থেকে বকলমে তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যা করা উচিৎ হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই কথা বলেই হেমন্ত বিশ্বশর্মা প্রশ্ন তুলেছেন, রাহুল সভাপতির দায়িত্ব ছেড়েছেন। কিন্তু  আজ কে কংগ্রেস চালাচ্ছে? কে ভারত জোড়ো যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছে? গোটা দল কার পিছনে ছুটছে? এই প্রশ্ন গুলি তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন জনগণের দায়িত্ব নিতে রাজি নন রাহুল গান্ধী। কিন্তু তিনি ক্ষমতা ভোগ করার জন্য মরিয়া। 

একই সঙ্গে হেমন্ত বিশ্বশর্মার প্রশ্ন কেন এভাবে সভাপতি না থেকেই রাহুল গান্ধী কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই কাজ করা তাঁর শোভা পায় না বলেও মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি তিনি বলেন রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রা করছেন। কিন্তু দেশের মানুষ কী চায় তা তিনি জানার চেষ্টা করেননি। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর বাড়িতে কি কখনও গবীর মানুষ যায়। সনিয়া বা রাহুল কি সাধারণ মানুষের সঙ্গে একই টেবিলে বসে খাবার খায়। 

একই সঙ্গে তিনি কংগ্রেস পার্টিকেও নিশানা করেন। তিনি বলেন রাহুল গান্ধীর পিছনে ছোটার জন্য গোটা কংগ্রেস পার্টিকে কৃতিত্ব দিতে হবে। গান্ধী পরিবারের প্রতি এখনও পুরো দলটাই দায়বদ্ধ। দলের সাংসদরা মনে করেন গান্ধী পরিবারই তাঁকে সাংসদ করেছে। দেশের মানুষ নয়। এটাই কংগ্রেস পরিবেশ। তিনি আরও বলেন এই কারণেই কংগ্রেস থেকে প্রচুর মানুষ বিজেপিতে চলে আসছে। আগামী দিনেও আসবে।