সংক্ষিপ্ত
বিচারপতি পিপি কুনহিকৃষ্ণান বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে অশ্লীল ফোটো বা ভিডিওগুলিকে বিতরণ না করে প্রকাশ্যে প্রদর্শন না করে কোনও ব্যক্তি যদি ফোনে দেখেন তাহলে তা ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে অশ্লীলতার অপরাধ দায়ের করা যাবে না।
একা একা পর্ন দেখা ভারতীয় দণ্ডবিধিতে কখনই অপরাধ নয়। বড় রায় ঘোষণা করল কেরল হাইকোর্ট। রাস্তায় নিজের স্মার্ট ফোনে পর্ন দেখার জন্য এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল কেরল পুলিশ। সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল মামলাও। এদিন সেই মামলাই খারিজ করে দিয়েছে কেরলা হাইকোর্ট।
২০১৬ সালে জুলাই মাসে আলুভা পৌরসভার কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল রাস্তার ধারে অর্থাৎ প্রকাশ্য নিজের মোবাইল ফোনে এই ব্যক্তি ফোনে পর্ন দেখছিলেন।
এদিন বিচারপতি পিপি কুনহিকৃষ্ণান বলেছেন, 'ব্যক্তিগতভাবে অশ্লীল ফোটো বা ভিডিওগুলিকে বিতরণ না করে প্রকাশ্যে প্রদর্শন না করে কোনও ব্যক্তি যদি ফোনে দেখেন তাহলে তা ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে অশ্লীলতার অপরাধ দায়ের করা যাবে না।' আদালত আরও বলেছে, একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কোনও ব্যক্তির গোপনীয়তায় অনুপ্রবেশও করেত পারনে না। মামলার শুনানির সময় আদালতে আইনজীবী দাবি করেন যে আবেদনকারী প্রকাশ্যে ভিডিওটি প্রদর্শন করেছেন।
বিচারক রায়ে বলেছেন, 'আমি মনে করি কোনও ব্যক্তির গোপনীয়তার মধ্যে অশ্লীল ছবি দেখা ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯২ ধারার অধীনে অপরাধ নয়। একইভাবে একজন ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে তাঁর গোপনীয়তায় থাকা একটি অশ্লীল ভিডিও দেখাও ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯২ ধারার অধীনে অপরাধ নয়। যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও অশ্লীল ভিডিও বা ছবি প্রচার বা বিতরণ করাই এই দেশে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। আদালত আরও বলেছেন, যৌন সম্পর্ক এই দেশে বেআইনি নয়। আদালতের রায় দিয়েছে এই ক্রিয়াকলাপগুলি সামাজিক নিয়মের অধীনে পড়ে। তাই সম্মতিমূলক যৌনতা বা ব্যক্তিগত পর্নোগ্রাফি ফিল্ম দেখার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে বিচারক শিশুদের ইন্টারনেট সংযোগ বা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করতে দেওয়ার বিরুদ্ধে পরামর্শ দিয়েছে। দীর্ঘ শুনানির পরে এই মামলার খারিজ করে দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট। তবে শিশুদের নেট ব্যবহার সহ একাধিক পরামর্শ দিয়েছে।