সংক্ষিপ্ত
বিজেপি এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন। উদ্দেশ্য ছিল প্রায় ৭৫ হাজার জাতীয় পকাতা ওড়ানোর।
পাকিস্তানের ১৮ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিল বিহারের ভোজপুর জেলা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ একসঙ্গে জাতীয় পতাকা ওড়ান। রবিবার এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই ভেঙে গেল পাকিস্তানেপ এক দশক পুরনো রেকর্ড। যা অঙ্গ হয়ে রইল আজাদি কা অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠানের।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক বীর কুনওয়ার সিং-এর ১৬৪তম মৃত্যু বার্ষিকী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর কে সিং, নিত্যানন্দ রাই ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তারাকিশোর প্রসাদ ও রেণু দেবী ও বিজেপি নেকা সুশীল মোদী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে প্রায় পাঁচ মিনিটের জন্য জাতীয় পাতাকা নাড়েন। আর তাতেই ভেঙে যায় পাকিস্তানের পুরনো রেকর্ড।
আগেই বিজেপি এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন। উদ্দেশ্য ছিল প্রায় ৭৫ হাজার জাতীয় পকাতা ওড়ানোর। এক আগে পাকিস্তান লাহোরে ৫৬ হাজার জাতীয় পকাতা উড়িয়ে এই রেকর্ড করেছিল।
তবে এদিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ চড়া সুরে আক্রমণ করেন বিহারের বিরোধী দলের নেতা তেজস্বী যাদবকে। তিনি বলেন লালু প্রসাদ যাদবের পোস্টার ছাড়া ঘুরলেই বিহারে জঙ্গলরাজের দিনগুলি মুছে ফেলা যাবে না। সেই স্মৃতি এখনও রাজ্যের মানুষ মনে রেখেছেন। পাল্টা হিসেবে তেজস্বী মনে করিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সঙ্গী নীতিশ কুমারও লালু প্রসদারে জঙ্গলরাজের সঙ্গী ছছিলেন। অমিত শাহ বলেছেন নীতিশ কুমার বিহারকে জঙ্গল রাজের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছে।
প্রায় দুই বছর পর এই প্রথম অমিত শাহ বিহার সফর করেন। ২০২০ সালে এনআরসি - সিএএ আন্দোলনে যখন উত্তাল ছিল বিহার সেইসময় অমিত শাহ এই রাজ্যে এসেছিলেন।
এর আগে ৭৪তম সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে খাদি তৈরি করেছে বিশ্বের বৃতত্তম জাতীয় পাতাক উড়িয়েছে রেকর্ড করেছিল ভারত। রাজস্থানের জয়সলমীরে মনুমেন্ট ন্যাশানাল ফ্যাগ প্রদর্শিত করা হয়েছিল । জেলার পশ্চিমাঞ্চলে লঙ্গেওয়ালায় ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর খাদির তৈরি তেরঙ্গা প্রদর্শিত হয়। লঙ্গেওয়াল ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল। এই এলাকাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যেই যুদ্ধ সংঘটত হয়েছিল।
লঙ্গেওয়ালয় খাদির তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় পতাকার প্রদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছিল, ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ মন্ত্রণালয় (MSME)। পতাকার এজাতীয় পঞ্চম প্রদর্শীন ব্যবস্থা করেছিল। এক আগে গত বছর গান্ধী জয়ন্তীতে লে-তে জাতীয় পাতার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল।দ্বিতীয়টি হয়েছিল ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর বিমান বাহিনী দিবসে হিন্ডন এয়ারবেসে। তৃতীয় অনুষ্ঠানটি হয়েছিল ২১ অক্টোবর লালকেল্লায়, দেশে ১০০ কোটি কোভিড টিকা ডোজ দেওয়ার পরে। ৪ ডিসেম্বর নৌবাহিনী দিবসে গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার কাছে প্রদর্শিত হয়েছিল।