সংক্ষিপ্ত

এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীকেও এই বিশেষ গামছা গায়ে দিতে দেখা গিয়েছে। একেবারে অসমীয়া সাজেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এমনকী, একাধিক বাদ্যযন্ত্রও তাঁকে বাজাতে দেখা গিয়েছে। ঢোলও বাজিয়েছেন তিনি।

রোঙ্গালি বিহু, বোহাগ নামেও পরিচিত। এটি অসমীয়া মাস বোহাগ বা বৈশাখে অনুষ্ঠিত হয়। তাই থেকেই এই নাম দেওয়া হয়েছে। এই উৎসবের দিনে নতুন পোশাক পরে গান, নাচ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই বহু মানুষ এই সময় অসমে ভিড় করেন। আর এবার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের বাসভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। 

এই অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী প্যাট বা মুগা সিল্ক বা সুতির মেখেলা চাদর পরেন মহিলারা। বিভিন্ন রঙের পোশাক পরতে দেখা যায়। আর এই সময়ে অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানকে নতুন পোশাক দেন। স্নেহ এবং সম্মানের চিহ্ন হিসেবে, গামছা, ঐতিহ্যবাহী অসমীয়া গামছা, যা বিহুওয়ান নামেও পরিচিত, বিনিময় করা হয়। গামুসা বা গামছা সাধারণত তাঁতে বোনা হয় এবং লাল নকশার তুলো দিয়ে তৈরি করা হয়, তবে বোহাগ বিহু উৎসবের সময়, গামছাগুলি আরও দামী প্যাট বা মুগা সিল্ক দিয়ে তৈরি করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়। মধ্যাহ্নভোজন এবং রাতের খাবারের মধ্যে রয়েছে নিরামিষ এবং আমিষ জাতীয় খাবার যেমন হাঁসের মাংস, সাদা করলা, মটন, চিকেন, হগ এবং মাছের সুস্বাদু খাবার।

আরও পড়ুন- রবিবার ভূস্বর্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী, ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর এটাই প্রথম কাশ্মীর সফর

 

আর এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীকেও এই বিশেষ গামছা গায়ে দিতে দেখা গিয়েছে। একেবারে অসমীয়া সাজেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এমনকী, একাধিক বাদ্যযন্ত্রও তাঁকে বাজাতে দেখা গিয়েছে। ঢোলও বাজিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর সামনে বিহু নাচও প্রর্শদন করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে সেই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে শিল্পী ও অতিথিদের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সবার সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন তিনি।  

আরও পড়ুন- প্রয়াগরাজ হত্যাকাণ্ডে রহস্য ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে, খুনের মোটিভ জানতে চেষ্টা পুলিশের

প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় বেজায় খুশি হন সোনওয়াল। দিল্লিতে তাঁর বাসভবনেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। মন্ত্রী বলেন, "প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় আমি খুব খুশি। গত ৮ বছর ধরে তাঁর ইচ্ছে ও উদ্যোগের জেরেই অসম ও উত্তরপূর্বে এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে অসমীয়া ও তাদের সংস্কৃতিকে তিনি যথেষ্ট সম্মান করেন।" আর এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর, নগেন্দ্র সিং তোমর ও রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ।  

আরও পড়ুন- জয়পুরে দ্বিতীয় বিয়ে সারলেন IAS অফিসার টিনা দাবি, ভাইরাল হল বিয়ের ছবি